মকরাসন। শ্বাসযন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর করে তোলার বিষয়ে খুবই কার্যকরী। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
মকরাসন
কুমিরের মত ভঙ্গিমার এই আসনটি অত্যন্ত সহজ কিন্তু এর উপকারিতা অনেক। শ্বাসপ্রক্রিয়া ঠিক রাখতে এটি বিশেষ কার্যকর
কী ভাবে
• ম্যাটের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। মাথা ও কাঁধ মাটি থেকে যতটা সম্ভব উপরে তুলুন। একই সঙ্গে দু’হাত ভাঁজ করে হাতের পাতায় চিবুক রাখুন। মাথা ও উপরের অংশের ভার দু’হাতের উপর রাখতে হবে। পা ছড়িয়ে আরামদায়ক ভাবে রাখুন। চোখ বন্ধ করে মুখমণ্ডল, কাঁধ, পেট, কোমর, পা রিল্যাক্স করুন।
• আরামদায়ক দুরত্বে কনুই রেখে সামনে কিছুটা এগিয়ে আসুন। আবার আগের অবস্থায় ফিরে যান। এর ফলে পিঠের দিকে কিছুটা চাপ পড়ে।
আরও পড়ুন: ভিড় এড়ান, কিন্তু গোল দাগে দাঁড়ালেই কি আপনি নিরাপদ?
ডায়াবিটিসে ভুগছেন? করোনা থেকে বাঁচতে কী করবেন?
• এই আসন মুলত স্থির ভাবে অভ্যাস করা হয়। মকরাসনে মূলত ঘাড় ও কোমরে চাপ দেওয়া হয়। কনুই এমন ভাবে রাখবেন যেন এই দুই অংশে সহনীয় চাপ পড়ে।
• এই অবস্থায় শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন ও পিঠ ও মেরুদণ্ডের উপর খেয়াল রাখতে হবে। ৭–১০ সেকেন্ড এই ভাবে থাকতে হবে।
• এর পর ধীরে ধীরে চিবুক ও কাঁধ মাটিতে রেখে হাত দুই পাশে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। কাত হয়ে উঠে বসুন।
কেন করব এই ব্যায়াম?
শ্বাসকার্যে সাহায্যকারী প্রধান অনৈচ্ছিক পেশি মধ্যচ্ছদা অর্থাৎ ডায়াফ্রাম। এই ভঙ্গিমার সাহায্যে বক্ষকে স্থির অবস্থায় রেখে ডায়াফ্রামের সাহায্যে শ্বাস নেওয়া হয়। মকরাসনে তলপেট মাটিতে ঠেকে থাকে। সেই কারণে শ্বাস তলপেটে ছড়িয়ে না পড়ে কোমরের পেছন দিকে আটকে থাকে। এর ফলে এই অংশের কোনও সমস্যা থাকলে তা ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে আসে। নিয়মিত মকরাসন অভ্যাস করলে কোমরের ব্যথা কমে যাওয়ার পাশাপাশি এই অংশের মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরে আসে। অ্যাজমা বা হাঁপানি থাকলে এই আসনটি অভ্যাস করলে ফুসফুসের বায়ুধারণ ক্ষমতা বাড়ে ও আরামদায়ক অনুভূতি হয়।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)