দিল্লির ‘দু’ নৌকোয় পা’ রেখে চলাটা বেজিংয়ের তেমন পছন্দ হচ্ছে না। চিনের তরফে ঠারেঠোরে তা বুঝিয়ে দেওয়া হল। দিল্লিকে সাবধান করা হল।
গত রবিবার থেকেই সন্ত্রাস দমনে চিনের সঙ্গে ভারতের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। আর সোমবার থেকে ভারত ত্রিপাক্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করেছে আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে। বিশ্ব রাজনীতিতে ‘চিন-বিরোধী’ বলে পরিচিত জাপানের সঙ্গে ভারতের ওই ‘সামরিক ভাবসাব’ চিনের কাছে খুব সুবিধার ঠেকছে না।
চিনের সরকারচালিত সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ বুধবার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্কটা যে এখন ‘স্বাস্থ্যকর’, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ‘‘দু’দেশের সম্পর্কটা এখন বেশ স্বাস্থ্যকর। তা উত্তরোত্তর আরও ভাল হচ্ছে। দু’দেশের মধ্যে যে সব চুক্তি হয়েছে, তাতে উপকৃত হবে দু’দেশই। এই সময় চিনবিরোধী শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়ার ব্যাপারে দিল্লিকে সতর্ক হতে হবে।’’
ইউনান প্রদেশের কুনমিঙে গত রবিবার থেকে চিনের সঙ্গে দশ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর পরের দিনটি থেকেই আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে সামরিক মহড়া শুরু করেছে ভারত। প্রকাশিত নিবন্ধে ওই মহড়াটিকে স্পষ্টই ‘চিনবিরোধী’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘‘ওই মহড়ার আদত লক্ষ্য চিন। আর সেই মহড়ায় জাপানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমেরিকা ও ভারত এখন পাকাপাকি ভাবে জাপানের বন্ধু হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।’’
দিল্লি যাতে সেই পথে না হাঁটে, তার জন্য ভারতের আগেকার ‘নিরপেক্ষ বিদেশনীতির’ কথা মনে করিয়ে দিয়ে ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতের বিদেশনীতি বরাবরই ছিল নিরপেক্ষ। ভারত আগে কখনওই চিনবিরোধী কোনও জোটে ছিল না।’’