মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ কিশোরের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
৫৮ বছর বয়সি মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল ১৬ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মহিলাকে নিভৃতে নিয়ে গিয়ে প্রথমে অত্যাচার চালায় কিশোর। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শরীরের একাধিক অংশে আঘাত করা হয়। ধর্ষণের পর তাঁকে মেরেও ফেলে কিশোর।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দাবি, পুলিশের জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে সে। জানিয়েছে, দু’বছরের পুরনো আক্রোশ থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
কী হয়েছিল দু’বছর আগে?
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মহিলার প্রতিবেশী ওই কিশোর। তাঁদের বাড়িতে সে প্রায়ই টিভি দেখতে আসত। এই সময় এক বার বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। চুরির ঘটনায় কিশোরের দিকেই আঙুল তোলেন পরিবারের সদস্যেরা। তার পর থেকেই ওই বাড়ির সঙ্গে কিশোরের সম্পর্ক তিক্ত। চোর হিসাবে গ্রামে তার বদনাম হয়ে গিয়েছিল। সেই থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে সে।
দু’বছর পর সুযোগ পেয়ে ফাঁকা বাড়িতে ঢোকে অভিযুক্ত। প্রৌঢ়ার মুখে প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং কাপড় গুঁজে, তাঁর হাত, পা বেঁধে সে নিয়ে যায় নিরিবিলি এলাকায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মহিলাকে আক্রমণ করে কিশোর। তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অনুমান পুলিশের। মহিলার যৌনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
গত ৩০ জানুয়ারি এই খুনের পর ১ ফেব্রুয়ারি কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে মহিলার বাড়ি থেকে ১ হাজার টাকা নগদ এবং কিছু গয়নাগাঁটিও হাতিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৭৬, ৩৮০-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।