প্রতীকী ছবি।
রাহুল গাঁধী বুধবার কর্নাটকে দাঁড়িয়ে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “ইতিহাস সাক্ষী আছে, দেশবিরোধী যে সংগঠন দেশের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর ৫২ বছর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেনি, তারা আজ দেশ জুড়ে পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি নিচ্ছে।” রাহুলের সেই কটাক্ষের জবাবে এ বার সঙ্ঘ মুখ খুলল। সঙ্ঘের অন্যতম এক নীতিনির্ধারক বলেন, “বিষয়টি আমাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হোক। আমরাও ভেবে দেখছি স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে কীভাবে উদযাপন করা যায়।”
উল্লেখ্য, দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণীয় রাখতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে দেশের শাসকদল বিজেপি। তার মধ্যে অন্যতম হল এই ‘হর ঘর তিরঙ্গা’। এই কর্মসূচিতে দেশের সর্বাধিক সংখ্যক বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছুদিন আগেই নেটমাধ্যমে নিজের প্রোফাইল ছবির বদলে জাতীয় পতাকার ছবি দিয়ে বাকিদের একই পন্থা অনুসরণ করার আহ্বান জানান। কিন্তু সঙ্ঘর কোনও পদাধিকারীকে প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিতে দেখা যায়নি। বিরোধীরা এই নিয়ে সরব হয়েছিল। নেটমাধ্যমে এই নিয়ে রঙ্গরসিকতাও শুরু হয়ে যায়। একটি সংবাদসংস্থাকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সঙ্ঘের অন্যতম এক নীতিনির্ধারক সুনীল অম্বেডকর বলেন, “বিষয়টি আমাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হোক। আমরাও ভেবে দেখছি স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে কীভাবে উদযাপন করা যায়।”
সুনীল জানান, গত জুলাই মাসেই সঙ্ঘ জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে। সঙ্ঘ-প্রভাবিত সংগঠনগুলিও একই ভাবে এই অনুষ্ঠানগুলিতে শামিল হবে বলে জানিয়েছেন সুনীল।