প্রতীকী ছবি।
তিন তালাক নিয়ে ছ’দিনের শুনানি শেষ হয়ে গেল। শুনানির শেষ দিনে আজ সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন ছুড়েছে, মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডই বলছে, তিন তালাক ধর্মীয় তত্ত্ব মতেই পাপাচার। তা হলে কেন মুসলিম সমাজে সেই প্রথা চলছে?
ল’ বোর্ড জানিয়েছে, তারা নিজেরাই তিন তালাক প্রথা তুলে দিতে চায়। তিন তালাক প্রথা তুলে দিতে দেশ জুড়ে কাজিদের ‘সার্কুলার’ জারি করা হবে। মুসলিম স্বামী তাঁর স্ত্রীকে যাতে ‘তালাক-তালাক-তালাক’ বলে বিচ্ছেদ দিতে না পারেন, নিকাহনামা বা বিয়ের চুক্তিতেই সেই শর্ত রেখে দেওয়ার বন্দোবস্ত করবেন কাজিরা। ল’ বোর্ডের কৌঁসুলি কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘বোর্ডই তিন তালাক প্রথা চালু রাখতে চায় না। গতকালই বোর্ডের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কাজিদের সার্কুলার পাঠানো হবে, যাতে নিকাহনামাতেই তিন তালাকের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।’’ কাজিরা মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের এই নির্দেশ মানবেন কি না, সে নিশ্চয়তা অবশ্য দিতে পারেননি সিব্বল।
কেন্দ্র চাইছে, সুপ্রিম কোর্ট সব রকম তালাকই তুলে দিক। কেন্দ্র নতুন আইন আনবে। ল’ বোর্ডের যুক্তি, এখন মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৩৭-এর শরিয়ত বিধি মেনে চলে। প্রত্যেকটি ধর্মেরই বিয়ে, বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, দত্তকের মতো বিষয়ে নিজস্ব পারিবারিক আইন রয়েছে। কেন্দ্র নতুন আইন করলে গোটা ব্যবস্থায় হাত দিতে হবে।
আপাতত রায় সংরক্ষিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। আইনজীবীদের আশা, জুলাইয়ে রায় ঘোষণা হতে পারে।