জামিনের নির্দেশে লিখতে হবে কারণও

সাধারণত যে কোনও আদালতেই বিচারকেরা জামিনের আবেদনে রায় দেওয়ার সময়ে শুধু বলেন, সমস্ত তথ্য ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে নির্দেশ দেওয়া হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৮
Share:

জামিন খারিজ করলে আদালতকে তার কারণও ব্যাখ্যা করতে হবে। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, জামিনের আবেদন অনুমোদন বা নাকচ করে রায় দিলে তার কারণও লিখতে হবে।

Advertisement

সাধারণত যে কোনও আদালতেই বিচারকেরা জামিনের আবেদনে রায় দেওয়ার সময়ে শুধু বলেন, সমস্ত তথ্য ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে নির্দেশ দেওয়া হল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর কে অগ্রবাল ও বিচারপতি অভয়মোহন সাপ্রের বেঞ্চ সম্প্রতি এক রায়ে বলেছে, ‘‘আগাম জামিনের আবেদনই হোক বা ফৌজদারি আইনে জামিনের আবেদন, এই ধরনের মামুলি পর্যবেক্ষণ কোনও যুক্তি হতে পারে না। জামিনের আবেদন খারিজ করার পক্ষে আইনি যুক্তি তো নয়ই।’’

আইনজীবীদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে হাইকোর্টে বা শীর্ষ আদালতে জামিনের মামলার বোঝা কমবে। কারণ নিম্ন আদালতের রায়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকায় সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। বিচারপতিদের প্রথম থেকেই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতে হত। নিম্ন আদালত বা হাইকোর্ট জামিনের নির্দেশে স্পষ্ট কারণ লিখলে শীর্ষ আদালতেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।

Advertisement

রাজস্থান হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে প্রেম গিরি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি অফিসারকে নিগ্রহের অভিযোগ ছিল। রাজস্থান হাইকোর্ট তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই রায় দেখেই সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আইনি যুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছে, ‘‘হাইকোর্টের বিচারপতি মামলার মূল তথ্যগুলিই রায়ে লেখেননি। আইনজীবীরা কী যুক্তি দিয়েছিলেন তা-ও লেখেননি।’’ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতে, ‘‘হাইকোর্টের বিচারপতি আইনি দিকটি নিয়ে মাথাই ঘামাননি। খুবই ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।’’ জামিনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। রাজস্থান হাইকোর্টকেই ফের এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছে শীর্ষ আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement