নিউ হাফলং স্টেশনে আরডিএসও ট্রেন। সোমবার। ছবি: বিপ্লব দেব।
লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথে যাত্রী-ট্রেন চলাচলের আগে শেষ বারের মতো রেল মন্ত্রকের রিসার্চ ডিজাইনস অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশনের (আরডিএসও) পরীক্ষামূলক ট্রেনটি সোমবার নিউ হাফলং ষ্টেশনে এসে পৌঁছল। রবিবার রাত দশটায় কামাখ্যা ষ্টেশন থেকে ছেড়ে ট্রেনটি আজ সকাল দশটায় নিউ হাফলঙে পৌঁছয়।
আরডিএসও ট্রেনে রয়েছে ১২টি কোচ ও ২৬টি বালি-বোঝাই রেক। ২৬টি রেকে ১০০টি করে বালির বস্তা রাখা হয়েছে। যাত্রী-ট্রেন চালানোর আগে রেল লাইনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই ট্রেন চালিয়ে পরীক্ষা করা হয়। লামডিং ডিভিশনের ডেপুটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আর এস মণ্ডল বলেন, ‘‘ট্রায়াল ট্রেনটি আগামী চার দিন নিউ হাফলং থেকে মাইগ্রেনডিসা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রেলপথে ‘ট্রায়াল রান’ করবে। ট্রায়াল চলাকালীন রেল লাইনের সব কিছু খতিয়ে দেখবে।’’ ২৬টি রেকে বালির ব্যাগ বোঝাই ওজন বাড়ানো হয়ে পরীক্ষার জন্যই। ট্রেন চলাকালীন রেল লাইন এই ওজন নিতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রেনটি এই অংশের সেতু ও সুড়ঙ্গগুলি ঠিক রয়েছে কিনা তাও দেখবে। ট্রেনের মধ্যে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি রয়েছে যা দিয়ে প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে কিনা তা ধরা পড়বে। মণ্ডল বলেন, ‘‘আগামী চার দিন আরডিএসও ট্রেন এই ১২ কিলোমিটার অংশ পরিদর্শন করে কামাখ্যায় ফিরে যাবে।’’ তবে ট্রেনটি শিলচর পর্যন্ত যাবে না বলে তিনি জানান। আরডিএসও ট্রায়ালের পর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে। লামডিং-শিলচর রেলপথে যাত্রী-ট্রেন চালানোর সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে রেলবোর্ড। এ জন্য ওই রেলপথের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ট্রেনে রয়েছেন রেলওয়ে ডিজাইন সেফটি অফিসার, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ইঞ্জিনিয়ার ও অফিসাররা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, যদি নতুন করে কোনও সমস্যা সৃষ্টি না হয়, তাহলে এ মাস থেকেই ওই রেলপথে যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে।