রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগকে কলঙ্কিত করা ঘটনার তদন্ত অমীমাংসিতই থাকল। গত বছর আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি শিশু মাস ছয়েক গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এ বছর ফের তাকে ভর্তি করা হলে ধরা পড়ে বাচ্চাটির দেহে এইচআইভি সংক্রমণ ঘটেছে। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতােলর দেওয়া রক্তেই সংক্রমণ হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে। হাসপাতাল ও রাজ্য সরকার তদন্তের নির্দেশ দেয়। রাজ্য সরকার শিশুটির চিকিৎসার ভার নেয়। কিন্তু এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জমা দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে সংক্রমণের উৎস চিহ্নত করা যায়নি। হাসপাতালের অধ্যক্ষ এ কে অধিকারী জানান, যে আট বোতল রক্ত দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে ৫ জনকে খুঁজে বের করে রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে কিছু মেলেনি। বাকি তিন জনকে পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতাল যে নিয়মে রক্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে, তাতে এইচআইভি থাকা অসম্ভব। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, ছ’মাস বাচ্চাটির বাইরে চিকিৎসা হয়েছে তখন সংক্রমণ হতে পারে। বিভিন্ন স্তরে তিনি বক্তব্য বদল করেছেন, নিম্ন আদালতে যা চোখে পড়েনি। সব দিক দেখে হাইকোর্ট ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে।