sonia gandhi

Sonia Gandhi: সমাজমাধ্যম নিয়ে সংসদে সরব সনিয়া

গত কয়েক দিনে ধরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে ফেসবুক নিজেদের ‘হেট স্পিচ’ বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য সম্পর্কে নিয়ম শিথিল করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২২ ০৮:০৩
Share:

ফাইল চিত্র।

ধারাবাহিক হারের ধাক্কায় কংগ্রেসের অন্দরে দাবি উঠেছিল, শীর্ষপদে বসে থাকা সনিয়া গান্ধীকে সক্রিয় হতে হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার পাঁচ রাজ্যে ভরাডুবির জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের সরিয়ে দিয়ে বুধবার সকালে কংগ্রেস সভানেত্রী দীর্ঘদিন পরে সরব হলেন। বিষয়, ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভোটে বিজেপির প্রভাব ফেলার অপচেষ্টা।

আজ সনিয়া গান্ধী লোকসভায় ‘জ়িরো আওয়ার’-এ মুখ খুলে দাবি তুলেছেন, দেশের গণতন্ত্রে ফেসবুক, টুইটারের হস্তক্ষেপে ইতি টানা হোক। বিজেপির নাম না করে শাসক দলকে নিশানা করে সনিয়া বলেন, ফেসবুক-টুইটারের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে রাজনৈতিক দলের নেতারা ও তাঁদের হয়ে কাজ করা সংস্থারা রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে। এই সব সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি শাসক দলকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে।

Advertisement

গত কয়েক দিনে ধরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে ফেসবুক নিজেদের ‘হেট স্পিচ’ বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য সম্পর্কে নিয়ম শিথিল করেছিল। ফেসবুকে বিজেপিকে অন্যান্য দলের তুলনায় কম অর্থে বিজ্ঞাপন দিতে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন, তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। অথবা বক্তব্য ধামাচাপা দিয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। সনিয়া এই বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, সকলের নজরে এসেছে যে আন্তর্জাতিক সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি সব রাজনৈতিক দলকে সমান সুযোগ দিচ্ছে না। সনিয়ার বক্তব্যের পরে আজ রাহুল গান্ধীও টুইট করে বলেন, এ থেকে গণতন্ত্রের বিপদ তৈরি হচ্ছে। সনিয়া আজ বলেছেন, শাসক দলের মদতে ফেসবুক যে ভাবে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে, তা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। সব বয়সিদের মন ভুয়ো তথ্য দিয়ে বিদ্বেষে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফেসবুক এ বিষয়ে অবহিত এবং তা থেকে ফায়দা কুড়োচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement