এনডিএফবি সংবিজিৎ বাহিনী থেকে সরিয়ে দেওয়া হল খোদ সংবিজিৎকেই। এমনই দাবি করেছে অসম পুলিশ। দীর্ঘ দিন থেকেই দলের একাংশ নেতা, সদস্য সংবিজিৎ ইংতি কাথারের নেতৃত্ব মানতে নারাজ ছিল।
অসমের এডিজি (বিশেষ শাখা) পল্লব ভট্টাচার্য জানান, বড়ো জঙ্গি সংগঠনের নেতার পদে এক কার্বি যুবককে মানতে রাজি ছিল না বড়ো নেতারা। এ নিয়ে সংগঠন ও সংগঠনের বাইরে সমালোচনা হচ্ছিল। গত বছর ২৩ ডিসেম্বর শোণিতপুর ও বড়োভূমিতে এনডিএফবি-র গণহত্যার পর সংবিজিৎ দেশের বাইরে পালায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সে এখন মায়ানমারে পরেশ বরুয়ার আশ্রয়ে রয়েছে। একই ভাবে মায়ানমারে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে দলের অন্যতম নেতা বি বিদাই। বাহিনীর অনেক নেতা-সদস্য হয় নিহত, না হয় গ্রেফতার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনডিএফবি-র সংগ্রামপন্থী গোষ্ঠী কার্যত নেতৃত্বহীন ভাবে চলছিল। পল্লববাবু জানান, সম্প্রতি দলের নেতারা বৈঠকে মিলিত হয়। সেখানেই সংবিজিৎকে সরিয়ে দলের নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয় দলের সাধারণ সম্পাদক বি সাওরাইগৌরার হাতে। তার বাড়ি চিরাং জেলার বামুনগাঁওতে। সেনাধ্যক্ষ বিদাইকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রংজাবাজাকে। এই রংজাবাজা অনেক আদিবাসীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ।
পল্লববাবু জানান, যে সব জঙ্গি নেতা সব চেয়ে বেশি হত্যায় জড়িত, তাদের হাতেই দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। সংবিজিৎকে পুরোপুরি না সরিয়ে উপদেষ্টা পদে রাখা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, এনডিএফবি-র সাওরাইগৌড়া-রংজা গোষ্ঠী বর্তমানে ভারত-ভুটান সীমান্তের ওপারে কোথাও ঘাঁটি তৈরি করেছে। তবে, এনডিএফবি সাওরাইগৌড়া শাখা এখনও নেতৃত্ব বদল নিয়ে কোনও বিবৃতি পাঠায়নি। এ দিকে, এ দিন শোণিতপুর ও গুয়াহাটি থেকে যৌথ বাহিনী ৭ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে পুলিশ গুয়াহাটি থেকে ছ’জন জঙ্গি ও লিঙ্কম্যানকে ধরেছে। শোণিতপুরের ঢেকিয়াজুলি চাপাই রৌমারি এলাকায় একটি জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে এক জঙ্গিকে ধরা হয়। মেলে একটি পিস্তল, এসএলআরের গুলি ও বিস্ফোরক।