দল ‘ভাঙানোর’ জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস ও তাঁর দল বিজেপিকে দায়ী করলেন এনসিপি প্রধান শারদ পওয়ার। এ প্রবণতা কতটা শুভ, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘আত্মসমীক্ষা’ করার পরামর্শ দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। পাল্টা হিসেবে ফডণবীস বলেন, ‘‘পওয়ারের উচিত তাঁর দলের সঙ্কট কেন, তা নিয়ে আত্মসমীক্ষা করা।’’
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে এনসিপির একের পর এক নেতা-নেত্রী হয় বিজেপি অথবা তাদের শরিক দল শিবসেনায় যোগ দিচ্ছেন। পওয়ারের অভিযোগ, এক দিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে ভয় দেখানো, অন্য দিকে বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না-করে রাজ্যের তহবিল ব্যবহার করে অর্থের লোভ দেখিয়ে এনসিপির নেতাদের দলে টানছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস এই কাজ করে চলেছেন। উদাহরণ হিসেবে পওয়ার বলেন, এনসিপির প্রাক্তন বিধায়ক কল্যাণ কালের একটি চিনিকল ভাল চলছিল না। কিন্তু বিধি ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে পান্ধারপুরের ওই কারখানাকে ৩০-৩৫ কোটি টাকা দিয়েছেন, শর্ত কল্যাণকে বিজেপিতে যোগ দিতে হবে। ব্যবসার স্বার্থে কল্যাণকে দল বদলাতে হয়েছে। পওয়ার বলেন, এ ছাড়া অন্য রাজ্যের মতো মহারাষ্ট্রেও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য এনসিপি নেতাদের ওপরে চাপ দিচ্ছে বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে বিজেপি কোথাও কখনও চাপের রাজনীতি করেনি। রাজ্যের চিনিকলগুলি সঙ্কটে পড়ায় তাদের ঘুরে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার অনেক চিনিকলকেই আর্থিক অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বহু চিনিকলকেই এই নীতি মেনে অর্থসাহায্য করা হয়েছে। কিন্তু তার বিনিময়ে কোনও মালিককে বিজেপিতে যোগ দিতে বলা হয়নি।’’
গত তিন-চার দিনে কংগ্রেসের শরিক এনসিপির এক ঝাঁক বড়-মাঝারি নেতা মহারাষ্ট্রের শাসকজোট বিজেপি বা শিবসেনায় যোগ দিয়েছেন। গত কালই আকোলের এনসিপি বিধায়ক বৈভব পিচাড় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী ও এনসিপির প্রভাবশালী নেতা মধুকর পিচাড়ের পুত্র বৈভব। তার দু’দিন আগে শিবসেনায় গিয়েছেন পওয়ারের দলের মুম্বই শাখার প্রধান সচিন আহির। এনসিপির মহিলা শাখার রাজ্য সম্পাদক চিত্রা ওয়াঘও সম্প্রতি দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনিও বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলে খবর।