প্রকল্পের সময়সীমা বেঁধে দিলেন সর্বা

১৫ দিনের মধ্যে অসমের সব ব্লকে দরিদ্রদের নামের তালিকা এবং দু’মাসের মধ্যে গরিব গ্রামবাসীদের জন্য ২ লক্ষ বাড়ি তৈরি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৬ ০৯:১৯
Share:

১৫ দিনের মধ্যে অসমের সব ব্লকে দরিদ্রদের নামের তালিকা এবং দু’মাসের মধ্যে গরিব গ্রামবাসীদের জন্য ২ লক্ষ বাড়ি তৈরি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

Advertisement

রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী নবকুমার দোলে, ডেপুটি স্পিকার দিলীপ পাল, পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, মুখ্যসচিব ভি কে পিপারসেনিয়া, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অধিকর্তা, বিডিওদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান— বিডিওদের ১৫ দিনের মধ্যে নিজের নিজের এলাকার দরিদ্র ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে জমা দিতে হবে। বিডিও দফতরগুলিকে আদর্শ দফতরে উন্নীত করতে হবে। দেখতে হবে সেখানে কোনও দরিদ্র ব্যক্তি যেন হেনস্থার মুখে না পড়েন। ঘুষ নেওয়ার ঘটনা যেন না ঘটে। প্রতি দফতরে এক সপ্তাহের মধ্যে বড় করে হোর্ডিং লাগানোর নির্দেশ দেন সোনোয়াল। যেখানে লেখা থাকবে— ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর পর মহকুমাধিপতি ও জেলাশাসকের কার্যালয়েও ওই হোর্ডিং লাগানোর জন্য তিনি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন।

রাজ্যে ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা’র (আগে যা ‘ইন্দিরা আবাস যোজনা’ নামে পরিচিত ছিল) অধীনে ২ 'লক্ষ বাড়ি তৈরি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সোনোয়াল। নির্দেশ দেন, দু’মাসের মধ্যে সব ব্লকে তালিকা মেনে বাড়ি তৈরি করে ফেলতে হবে। গ্রামসভায় থাকতে হবে গৃহপ্রাপকদের নামের তালিকা।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী জবকার্ড দেওয়া ও জবকার্ড থাকা ব্যক্তিদের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে নজরদারি ও মূল্যায়নের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা দরকার। ‘জন ধন যোজনা’য় আজ পর্যন্ত প্রতি ব্লকে কত জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, ‘বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও’ প্রকল্প, ‘ফসল বিমা যোজনা’, ‘স্টার্ট আপ, স্ট্যান্ড আপ’, ‘মুদ্রা যোজনা’য় সুবিধা প্রাপকদের তালিকা ও প্রকল্পের মূল্যায়ন রিপোর্টও বিডিওদের ২ মাসের মধ্যে জমা দিতে বলেন সোনোয়াল। দেখতে বলেন, প্রকল্পগুলি থেকে সত্যিই প্রাপকদের জীবনে কোনও পরিবর্তন এসেছে কি না। গ্রামবাসীদের সঙ্গে সরকারি কর্তাদের দুরত্ব থাকছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই দফতরে বসে না থেকে, গ্রামে ঘুরে বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে আসা, তাঁদের সুখ-দুঃখের কথা জানার জন্য সোনোয়াল সরকারি কর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের সক্রিয় সাহায্য ছাড়া প্রকল্প সফল হবে না, আর গ্রামের উন্নতি না হলে রাজ্যেরও উন্নতি অসম্ভব’’' তিনি জানান, ভাল কাজ করা সরকারি অফিসারদের প্রতি

বছর অনুষ্ঠান করে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তাঁদের পদোন্নতিও হবে। বিধায়কদের বিভিন্ন অভিযোগ অবিলম্বে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement