Maharashtra

কর দিচ্ছেন দু’রাজ্যে, এ বার তেলঙ্গানায় যেতে চান মহারাষ্ট্র সীমানাবর্তী মানুষ, কেন?

গ্রামবাসীদের দাবি, মহারাষ্ট্র সরকারকে কর দেওয়ার পরেও প্রাথমিক সুবিধা যেমন, রাস্তা, জল, শিক্ষা— এগুলি ঠিক মতো পাচ্ছেন না। শিক্ষার পরিকাঠামোও ভাল নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৩৪
Share:

বাড়ির এক পাশ সীমানার ও পারে, এক পাশ সীমানার এ পারে। ফলে দুই রাজ্যেরই সুবিধা ভোগ করেন উত্তর পওয়ারের পরিবার। তাঁর বাড়ির একাংশ মহারাষ্ট্রে, আর অন্য অংশ তেলঙ্গানায়। উত্তমদের বাড়ির ৪টি ঘর তেলঙ্গানার মহারাজাগুড়ায় পড়েছে। আর বাকি অংশ মহারাষ্ট্রে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে উত্তম বলেন, “১৯৬৯ সালে যখন মহারাষ্ট্র এবং তেলঙ্গানার (তখন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশ) সীমানা নির্ধারণ করা হয়, তখন আমাদের বলা হয় বাড়ির অর্ধেক অংশ মহারাষ্ট্রে এবং বাকিটা অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশে, বর্তমান তেলঙ্গানায়।” ফলে দু’রাজ্যেরই সুবিধা ভোগ আসছেন সেই সময় থেকে। আর দু’টি রাজ্যকেই কর দেন উত্তম।

উত্তমের বাড়ির বেশির ভাগ অংশ মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলার মধ্যে পড়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই, এই রাজ্যের সরকারি সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়ার কথা তাঁদের। কিন্তু তেমন কোনও সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন না বলে দাবি। উত্তমের কথায়, “আমরা দুই রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতকে কর দিই। কিন্তু বেশি সুবিধা পাই তেলঙ্গানা সরকার থেকে।”

Advertisement

উত্তমের মতো আরও অনেকেরই একই দাবি। শুধু তাই-ই নয়, মহারাষ্ট্রের সীমানাবর্তী গ্রামগুলিতেও একই দাবি উঠতে শুরু করেছে। দু’রাজ্যের সীমানায় থাকা গ্রামগুলির বাসিন্দারা দাবি তুলেছেন তাঁরা তেলঙ্গানায় পাকাপাকি ভাবে চলে যেতে চান। কেন যেতে চাইছেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের নাকে ওয়াড়া গ্রামের এক বাসিন্দা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, “তেলঙ্গানা সরকার ১ হাজার টাকা পেনশন দিচ্ছে প্রবীণ নাগরিকদের। ১০ কেজি রেশন দিচ্ছে। এ ছাড়াও অন্যান্য সুবিধাগুলিও বেশি মহারাষ্ট্রের তুলনায়।”

গ্রামবাসীদের দাবি, মহারাষ্ট্র সরকারকে কর দেওয়ার পরেও প্রাথমিক সুবিধা যেমন, রাস্তা, জল, শিক্ষা— এগুলি ঠিক মতো পাচ্ছেন না। শিক্ষার পরিকাঠামোও ভাল নয়। পরিবর্তে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও অনেক বেশি সুবিধা দিচ্ছেন বলে দাবি তাঁদের। আর সে কারণেই মহারাষ্ট্র ছেড়ে তেলঙ্গানায় চলে যেতে চাইছেন তাঁরা। তার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে গ্রামবাসীদের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement