রাগের মাথায় পুত্রকে খুন করার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
পুত্রকে খুন করলেন বাবা। তার পর গ্রেফতারি এড়াতে সেই মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে ধরা পড়ল গোটা পরিবার।
ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের রায়গড় জেলার। মৃতের নাম তেকমানি পাইকারা (১৮)। গত ৫ মে রাস্তার ধার থেকে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের পরিবার পুলিশকে জানায়, বাইক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। সে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। ৫ তারিখ হস্টেল থেকে ফিরে বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। পরের দিন জানা যায়, সে বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসার দীপক মিশ্র জানান, ময়নাতদন্ত করার পর দেখা যায়, তেকমানির দেহে গভীর কিছু ক্ষত রয়েছে। তাতেই পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তারা তদন্ত শুরু করে। তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দেওয়ালের বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। বাড়ির উঠোনেও রক্তের দাগ দেখতে পায় পুলিশ। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
তেকমানির বাবা পুলিশের কাছে স্বীকার করে নেন, তিনিই পুত্রকে খুন করেছেন। পড়াশোনা করতে চাইত না বলে বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা হত তেকমানির। ৫ মে সে দেরি করে বাড়ি ফিরেছিল বলে বাড়ির লোকের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। রাগের মাথায় তাকে খুন করে বসেন বাবা। তার পর গ্রেফতারি এড়াতে বাড়ির সকলে মিলে এই সাজানো দুর্ঘটনার পরিকল্পনা করেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।