প্রতীকী চিত্র।
শুধু জম্মু-কাশ্মীর নয়, পাক জঙ্গিদের নজরে এ বার পঞ্জাব-হরিয়ানাও। খালিস্তানি জঙ্গিদের সাহায্য করতে পাকিস্তানি জঙ্গিরা ব্যাপক হারে অস্ত্র, ড্রাগ, বিদেশি মুদ্রা পাচার বাড়িয়ে দিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সম্প্রতি রিপোর্ট দিয়েছেন। সেই রিপোর্টের পরেই পাক জঙ্গিদের এই খালিস্তানি মডিউল নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
মাস দু’য়েক আগে গত বছরের নভেম্বরে লুধিয়ানা থেকে এক মহিলা ও এক যুবককে খালিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ওই মহিলা পঞ্জাবের ফরিদকোটে নার্সের কাজ করতেন। আর ধৃত যুবক দুবাইয়ে গাড়ি চালকের কাজ করতেন। তদন্তকারী অফিসাররা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছেন, পঞ্জাবে নতুন করে জঙ্গি কার্যকলাপ চালু করার জন্য বিদেশি অর্থ সাহায্য পেয়েছেন ওই দু’জন। তাঁদের সঙ্গে পাকিস্তানের খালিস্তানি জঙ্গিদের যোগাযোগের প্রমাণও পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
এই দুই সন্দেহভাজন গ্রেফতার হওয়ার পরেই খালিস্তানি মডিউল নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়। গোয়েন্দারা একাধিক সূত্রে জানতে পেরেছেন হরিয়ানা ও রাজস্থান সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, ড্রাগ, বিদেশি টাকা পাচার হয়েছে। সেই সব সামগ্রী খালিস্তানি জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে বলেও একটি সূত্রে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
বিভিন্ন সূত্রে গোয়েন্দারা আরও জানতে পেরেছেন, নতুন করে খালিস্তানি আন্দোলনকে অক্সিজেন দিতে শুরু করেছে পাক জঙ্গিরা। পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নেতা-কমান্ডাররা বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই) এবং খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স (কেজেডেফ)-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে জঙ্গিদের পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর এসেছে।
তবে গোয়েন্দারা এখনও নিশ্চিত নন যে, ইতিমধ্যেই কোনও ট্রেনিং ক্যাম্প তৈরি হয়েছে কি না। এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে। তবে গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, পঞ্জাব-হরিয়ানা বা রাজস্থানের সীমান্ত দিয়ে খালিস্তানি জঙ্গিদের ভারতে ঢুকিয়ে ফের অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে পাক জঙ্গিরা। সেই মতো সীমান্তরক্ষী বাহিনী-সহ সংশ্লিষ্ট সব বাহিনীর কাছে সতর্কবার্তাও গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে।