গত ৩১ অগস্ট দোহায় ভারতের সঙ্গে তলিবান প্রতিনিধির কথা হয়েছিল। ফাইল চিত্র।
এ মাসের ২০ তারিখ আফগানিস্তান নিয়ে তৈরি মেকানিজ়ম ‘মস্কো ফরম্যাট’–এর বৈঠকে তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি হতে পারে ভারত। রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন কাবুল সংক্রান্ত আলোচনার এই মঞ্চটিতে ভারত ছাড়াও রয়েছে, আমেরিকা, চিন, পাকিস্তান, ইরান, আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। মস্কোয় ২০ তারিখের ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ গিয়েছে সাউথ ব্লকে। এ ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি ঠিকই, কিন্তু সূত্রের খবর, বিদেশ মন্ত্রকের তরফে উচ্চপদস্থ কূটনীতিকদের ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। রাশিয়া তালিবান সরকারকে এখনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও, পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওই সরকারের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই প্রথম তালিবান এই মেকানিজ়মটিতে যোগ দিতে চলেছে।
এর আগে গত ৩১ অগস্ট দোহায় ভারতের সঙ্গে তলিবান প্রতিনিধির কথা হয়েছিল। তবে তালিবান সরকার গড়ার পরে এ বারই প্রথম ভারতের সঙ্গে কাবুলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভারতের পাশাপাশি এই মেকানিজ়মটির বেশির ভাগ দেশই আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদ পাচারের দিকটি তো রয়েছেই। সেটা ভারতের সবচেয়ে আশঙ্কার কারণ। কিন্তু তার পাশাপাশি তালিবানের প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞতা এবং সে দেশের অর্থনীতির ভয়াবহ অবস্থা ভবিষ্যতে গোটা অঞ্চলে আরও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, আফগানিস্তান যেন জঙ্গিস্থান না হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাকও দিয়েছেন তিনি। মোদীর কথায়, “আফগানিস্তানের মাটি যেন জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত না হয়। এই দেশের উন্নয়নে সকলকে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।” আফগানদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আফগানিস্তান নিয়ে মস্কো ফরম্যাট-এর পর আরও একটি আন্তর্জাতিক স্তরের বৈঠক ডাকছে রাশিয়া। রাশিয়া, আমেরিকা, চিন এবং পাকিস্তানের এই চতুর্দেশীয় মঞ্চটিতে কাবুলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।