শিশুকে খুনের অভিযোগ সৎবাবার বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
তিন বছরের শিশুকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার সৎবাবা। অভিযোগ, কাফ সিরাপের বদলে শিশুকে বিষ খাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বিষক্রিয়ার প্রভাবে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি ওড়িশার কুন্ডেই এলাকার নবরঙ্গপুর গ্রামের। অভিযুক্তের নাম বিশ্বনাথ গোন্ড। তিনি পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক। মাস তিনেক আগে তিনি গায়ত্রী গোন্ড নামের এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তার পরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু এর আগে গায়ত্রীর প্রথম পক্ষের এক সন্তান ছিল। তিন বছরের সেই শিশুপুত্রকে নিয়েই বিশ্বনাথের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন তিনি।
পুলিশকে গায়ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে গত দু’দিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। জ্বর এবং সর্দিকাশিতে ভুগছিল সে। গায়ত্রী স্বামীকে ছেলের জন্য কিছু ওষুধ দিতে বলেন। শিশুটির জন্য বিশেষ একটি কাফ সিরাপ দেন বিশ্বনাথ। সকাল ১১টার সময় তাকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। তার পরেই নাকি বমি করতে শুরু করে শিশুটি। ওই দিন বিকেল ৩টে নাগাদ সে মারা যায়।
শিশুর মৃত্যুর পর তার মায়ের সন্দেহ হয়, বিশ্বনাথ ইচ্ছা করেই কাফ সিরাপের বদলে ছেলেকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছেন। তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশুর দেহ উদ্ধার করে। কাফ সিরাপের শিশিটিও বাজেয়াপ্ত করে তারা।
অভিযোগ, সৎছেলের মৃত্যু এবং থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন বিশ্বনাথ। তিনি ওড়িশা থেকে ছত্তীসগঢ়ের সীমান্তের কাছে পৌঁছে যান। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনায় কুন্ডেই থানার আইসি প্রশান্ত কুমার শেট্টি বলেন, ‘‘শিশুটি কাফ সিরাপ খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। আমাদের অনুমান, অভিযুক্ত কাফ সিরাপের মধ্যে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’