অসমের ধাঁচেই পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে এনআরসি-র পক্ষে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। —ফাইল চিত্র।
অসমের পরে পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরি হবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রাখল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
অসমের ধাঁচেই পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে এনআরসি-র পক্ষে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। একাধিক বার এ নিয়ে সংসদেও সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদেরাও। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে একটি প্রশ্নে রাজ্যের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন অসমের পরে এনআরসি প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গের পালা আসবে কি না? আজ সেই প্রশ্নের কোনও সরাসরি জবাব দেওয়া থেকে এড়িয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই সরকারি ভাবে জানান, ‘‘নাগরিকত্ব আইনের ধারায় বর্তমানে অসমে এনআরসি চালু রয়েছে।’’ এর বেশি আর কোনও বাক্যব্যয় করতে চাননি তিনি। ঋতব্রতের কথায়— ‘‘উত্তরে স্পষ্ট কিছুই বলা নেই।’’ তাই বিষয়টির সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা চেয়ে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই সাংসদ।
এ দিকে আজ লোকসভার জিরো আওয়ারে কর্নাটকের জন্য এনআরসি চেয়ে সরব হন বেঙ্গালুরুর (দক্ষিণ) বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। সম্প্রতি জামাতুল মুজাহিদিন (বাংলাদেশ) সংগঠনের বেশ কিছু জঙ্গি কর্নাটক থেকে গ্রেফতার হয়েছে। এদের আদি বাসস্থান বাংলাদেশ। তেজস্বী বলেন, ‘‘কর্নাটক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গিয়েছে। এরা দেশের সুরক্ষার জন্য যেমন বিপদ, তেমনই তারা স্থানীয় মানুষের কাজ ছিনিয়ে নিচ্ছে।’’ তাই কর্নাটকে বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করার দাবিতে নিজের রাজ্যে অবিলম্বে এনআরসি-র কাজ শুরু করার দাবি জানান তেজস্বী।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।