Narendra Modi

Narendra Modi: মুখে দুয়ারে ঋণ, বার্তা কি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের

যখন তিনি স্কুলে পড়তেন, তখনও ইন্দিরা গাঁধীর নির্দেশে ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রায়ত্তকরণ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৫৩
Share:

নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।

যখন তিনি স্কুলে পড়তেন, তখনও ইন্দিরা গাঁধীর নির্দেশে ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রায়ত্তকরণ হয়নি। সেই সময়ে বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্তারা স্কুলে-স্কুলে গিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার উপকারিতা বোঝাতেন। বৃহস্পতিবার সেই উদাহরণ তুলে ধরেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে শিল্পের দরজায় গিয়ে ঋণের প্রস্তাব দেওয়ার পরামর্শ দিলেন নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

এ দিন প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তাদের বলেন, ‘‘কে, কখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আবেদন বা ঋণের আর্জি নিয়ে হাজির হবেন, তার জন্য অপেক্ষা করলে চলবে না। আশপাশের অন্তত ১০টি ছোট-মাঝারি শিল্প সংস্থার দরজায় গিয়ে তাদের ঋণের প্রস্তাব দিতে হবে। যাতে তারা ব্যবসা বাড়াতে পারে।’’ অর্থ মন্ত্রকের উদ্যোগে ঋণের জোগান ও আর্থিক বৃদ্ধির বিষয়ে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি বলেন, আবেদন-অনুমোদনের গণ্ডিতে আটকে না থেকে ব্যাঙ্কগুলিকে কর্মসংস্থান ও সম্পদ তৈরির ভূমিকায় নামতে হবে।

যদিও মোদীর মুখে ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রায়ত্তকরণের আগে বেসরকারি ব্যাঙ্কের সময়ের প্রশংসা শুনে আজ ব্যাঙ্ক কর্তাদের মনে প্রশ্ন, তবে কি আসলে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের পক্ষেও সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী! বাজেটেই ঘোষণা করা হয়েছিল, চলতি আর্থিক বছরে দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হবে।

Advertisement

তার জন্য সংসদের আসন্ন

শীতকালীন অধিবেশনে বিল নিয়ে এসে ১৯৪৯-এর ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইন এবং ব্যাঙ্কিং সংস্থা সংক্রান্ত আইনে সংশোধন করে বেসরকারিকরণের রাস্তা খোলা হবে বলেও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এখন অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, আপাতত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ কেন্দ্রের অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই। বিল আসলেও, তা ফেব্রুয়ারি-মার্চের বাজেট অধিবেশনে। ফলে চলতি অর্থবর্ষে কোনও ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের সম্ভাবনা কম।

সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, ব্যাঙ্ক কর্মী-অফিসারদের সংগঠনগুলি বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে তাই আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার।

মোদী আজ তাঁর সরকারের আমলে ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্য মজবুত হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। নীরব মোদী-মেহুল চোকসি-বিজয় মাল্যদের নাম না করলেও ঋণ শোধ না করে বা প্রতারণা করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্তদের সম্পর্কে তিনি বলেন, কূটনৈতিক পথ কাজে লাগানো হচ্ছে। তাঁর আক্ষেপ, যখন কেউ পালিয়ে যায়, তখন আলোচনা হয়। কিন্তু যখন সরকার কাউকে ফিরিয়ে আনে, তখন তা হয় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement