পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের আন্ধেরির বাসিন্দা আন্নামপালি পরিবার তাদের আদি বাড়ি তেলঙ্গানায় এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল ১৭ লক্ষ টাকার গয়না ভর্তি ওই ব্যাগ। কিন্তু ফেরার সময় ঘটে বিপত্তি।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
খুশিতে আত্মহারা আন্নামপালি পরিবার। সৌজন্যে মুম্বই পুলিশ। চেন্নাই এক্সপ্রেসে ১৭ লক্ষ টাকার গয়না হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল পুরো পরিবার। পাগলের মতো স্টেশনে স্টেশনে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন সেই গয়নার ব্যাগ। অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তাঁরা। মুম্বই পুলিশের কনস্টেবল ঈশ্বর যাদব তাঁদের ওই গয়না ভর্তি ব্যাগ খুঁজে দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের আন্ধেরির বাসিন্দা আন্নামপালি পরিবার তাদের আদি বাড়ি তেলঙ্গানায় এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল ১৭ লক্ষ টাকার গয়না ভর্তি ওই ব্যাগ। কিন্তু ফেরার সময় ঘটে বিপত্তি। চেন্নাই এক্সপ্রেস থেকে লোকাল ট্রেন ধরার জন্য তাঁরা দাদরে নামেন। সেই সময় ব্যাগটি ফেলে আসেন।
পরিবারের সদস্য আনন্দ আন্নামপালি বলেন, ‘‘আমরা বাড়িতে পৌঁছনোর পর দেখতে পাই গয়না ভর্তি ব্যাগটি নেই।’’ কিন্তু তখনও তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না ব্যাগটি ফেলে এসেছেন কি না। ব্যাগটি খুঁজতে পরিবারের একদল সদস্য যান আন্ধেরি স্টেশনে। কথা বলেন নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে। তাঁরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। অন্য দল যান দাদর স্টেশনে।
কিন্তু যে ট্রেনটিতে করে তাঁরা ফিরেছিলেন সেটি তত ক্ষণে মাজগাও ইয়ার্ডে চলে গিয়েছে। তাঁরা রেলপুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে রেলপুলিশ কনস্টেবল ঈশ্বর যাদবকে খোঁজ করার জন্য পাঠায়। কিন্তু তত ক্ষণে ট্রেনটিতে সাফাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জানলা দরজা সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঈশ্বর তখন জরুরি সময়ের জন্য ব্যবহার করার একটি জানলা দিয়ে ট্রেনের ভিতরে ঢুকে পড়েন। যে কোচটিতে আন্নামপালি পরিবার ছিল সেটিতে পৌঁছন। তন্নতন্ন করে খোঁজার পর একটি সিটের তলা থেকে ব্যাগটি উদ্ধার হয়।
আনন্দ আন্নামপালি বলেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম কোনও যাত্রী ব্যাগটি নিয়ে গিয়েছেন। আমার মা ভেঙে পড়েছিলেন। আমরা ভাবিনি ওই গয়না ভর্তি ব্যাগ ফিরে পাব।’’
আর যিনি ব্যাগ উদ্ধার করেছেন, সেই কনস্টেবল ঈশ্বর যাদবের স্বহাস্য প্রতিক্রিয়া, ‘‘পরিবারের (আন্নামপালি) লোকেরা বলছেন আমার নাম ঈশ্বর। সে কারণে ব্যাগ উদ্ধার সম্ভব হল।’’