প্রতীকী ছবি। ছবি—পিটিআই।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা অনেকটাই সামলে উঠেছে মহারাষ্ট্র। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার থেকে কমে গত কয়েক দিনে ২০ হাজারে নেমেছে। কিন্তু সে রাজ্যের আহমদনগর জেলাতে মে মাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজারেরও বেশি শিশু এবং কিশোর। এমনিতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কমবয়সিদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। তৃতীয় ঢেউয়ে তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের। তাই এখন থেকেই সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আহমদনগর জেলা প্রশাসন।
আহমদনগরের জেলাশাসক রাজেন্দ্র ভোঁসলে বলেছেন, “মে মাসে ৮ হাজারের বেশি বাচ্চা করোনা পজিটিভ হয়েছে। এই প্রবণতা যথেষ্ট ভয়ের।’’ জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, সে জেলায় মে মাসে মোট আক্রান্তের ১০ শতাংশই বাচ্চা। জুলাই বা অগস্টের শুরুতে তৃতীয় ঢেউ আসবে তা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করেছে ওই জেলা প্রশাসন।
তৃতীয় ঢেউয়ে ছোটরা বেশি আক্রান্ত হতে পারে তা ধরে নিয়ে আগাম প্রস্তুতিও সেরে রাখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজ্যের সীমানাবর্তী সাঙলি শহরের প্রশাসক অভিজিৎ ভোঁসলে বলেছেন, ‘‘ছোটদের জন্য আমরা আলাদা করে কোভিড ওয়ার্ড বানাচ্ছি। যদি তৃতীয় ঢেউ আসে আমরা তৈরি। এই ওয়ার্ডে ছোটরা মনে করবে তারা হাসপাতালে আছে। বরং তাদের মনে হবে তারা কোনও স্কুলে বা নার্সারিতে আছে।’’ একই কথা বিধায়ক সংগ্রাম জগতপের গলাতেও। তিনি বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেন এবং শয্যার আকাল পড়েছিল। তৃতীয় ঢেউয়ের আগে তাই সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।’’