—ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষিকদের বিক্ষোভ নিয়ে গোড়া থেকেই অস্বস্তিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। অস্বস্তিতে হরিয়ানার বিজেপি সরকারও। কারণ সেখানকার বিপুল সংখ্যক কৃষক এই আন্দোলনে শুধু যোগই দেননি, হরিয়ানা জুড়ে রীতিমতো বিজেপিকে বয়কট করার পথেও হেঁটেছেন। গোড়া থেকে বারবার নানা ভাবে কৃষকদের আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা করেও সফল হয়নি বিজেপি। এই অবস্থায় হরিয়ানার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের দাবি, কৃষকদের বিক্ষোভের ফলে স্থানীয় একাধিক গ্রাম করোনা সংক্রমণের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই দাবি করার পাশাপাশি কৃষক নেতাদের কাছে তাঁর আর্জি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা অবধি তাঁরা যেন আন্দোলন স্থগিত রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের তাঁরা আন্দোলনে বসবেন।
কিন্তু খট্টরের এই মন্তব্যে অন্য কৌশল দেখছেন কৃষক নেতারা। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, দেশজুড়ে সংক্রমণ এবং মৃত্যুমিছিল ঠেকাতে ব্যর্থ বিজেপি এ বারে সংক্রমণের দায় কৃষক বিক্ষোভের ঘাড়ে চাপিয়ে গোটা কৃষক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। অথচ বিজেপি সরকারের প্রত্যক্ষ মদতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন লক্ষ লক্ষ মানুষ কুম্ভ স্নান করে সংক্রমণ ভয়াবহ জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। কুম্ভফেরত লোকেদের মাধ্যমে সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের বহু গ্রামে। তার সঙ্গে আছে সরকারি অব্যবস্থা। অভিযোগ, সে সব থেকে নজর ঘোরাতেই কৃষক বিক্ষোভের দিকে আঙুল তুলছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। কৃষক নেতাদের দাবি, তাঁরা অবস্থানস্থলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন।