খেতে কাজ করার সময় গ্রামবাসীদের উপর আচমকা হামলা করেছিল লোকালয়ে ঢুকে পড়া চিতাবাঘ। গুরুতর আহত হন তিন জন। আজ সকালে কামরূপের পচরিয়ার ধিঙববরি গ্রামের ঘটনা। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে এলাকাবাসী। তাদের হাতে ছিল দা, কুড়ুল, লাঠি। বিকেলের দিকে ফের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে তল্লাশিতে সামিল তিন জনকে আঁচড়ে-কামড়ে জখম করে প্রাণীটি। সুযোগ পেয়ে তাকে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা। লাঠির আঘাতে, বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে, দায়ের কোপে রক্তাক্ত হয় চিতাবাঘটি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সকালে বন্যপ্রাণীর হানার খবর পেয়েই পচরিয়ায় হাজির হয়েছিলেন বনকর্মীরা। চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু উত্তেজিত গ্রামবাসীরা বনকর্মীদের কথা শুনতে চাননি।
অন্য দিকে, ডিব্রুগড়ে অভিযান চালিয়ে এক শিকারিকে ধরল পুলিশ। পুলিশ জানায়, নামরূপের দিল্লিঘাট থেকে অরুণাচলের তেজুর বাসিন্দা জাখাউ ওয়াংসাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পূর্ণবয়স্ক ভালুকের চামড়া। জেরায় সে জানায়, লংডিংয়ে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ কারবারচক্রের কাছে চামড়াটি বিক্রির কথা ছিল। তেজপুরেও ফের বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চামধরা চাপড়িতে ওরাঙ বা কাজিরাঙা থেকে বেরিয়ে আসা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার গবাদি পশু মারছে। অভিযান শুরু করেছে বনবিভাগ। আজ ডিব্রুগড়ের মাস্টারপাড়ায় এক ব্যক্তির ঘরের ছাদে দু’টি চিতাবাঘের শাবক দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। পরে বনকর্মীরা তাদের নিয়ে যান।
গত কাল কাজিরাঙায় গন্ডার হত্যার ঘটনায় আমকাঠনি ও ডাফলাং বন শিবিরে প্রহরার দায়িত্বে থাকা সাত বনকর্মীকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন বনমন্ত্রী। মুখ্য বনপাল শফিক আহমেদকে ঘটনার তদন্ত করার ভার দেওয়া হয়েছে।
শিবসাগরের সোনারিতে বনকর্মীর গুলিতে জখম হয়েছে দুই যুবক। বন দফতরের দাবি, দিল্লি সংরক্ষিত অরণ্যে সন্দেহজনক ভাবে কয়েক জনকে ঘুরতে দেখে গুলি চালানো হয়েছিল। তাতে জখম হয় শিশু গগৈ ও নোমল গগৈ নামে দুই যুবক। তাদের দাবি, জঙ্গলে গরু খুঁজতে গিয়েছিলেন। বিনা প্ররোচনায় বনরক্ষীরা গুলি চালান। কচুগাঁও অরণ্যে অভিযান চালিয়ে বিএসএফ ৬০ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, তারা চোরাই কাঠের ব্যবসায় যুক্ত। গুয়াহাটিতে শোধনাগারের পাশে পাইপলাইন কলোনি থেকে একটি ২০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার করা হয়।