মায়ের সঙ্গে কুণাল। ধানবাদের বাড়িতে। ছবি: চন্দন পাল
ইরানের জেলে শুকনো রুটি চিবোতে চিবোতে ধানবাদের বাড়ির কথা, বন্ধুদের কথা ভাবতেন তিনি। বছর একুশের কুণাল গোড়ের মনে হত, আর ফেরা হবে না সেখানে। মনে হত, বিদেশে এই কালকুঠুরিতেই কেটে যাবে সারা জীবন!
শেষ পর্যন্ত ইরানের আদালত তাঁকে নির্দোষ বলে রায় দিল। ধানবাদের কুণাল তাই ঘরে ফিরেছেন। তাঁকে ঘিরে এখন পরিবারে উৎসবের মেজাজ। পাড়ায় মিষ্টি বিলি করছেন বাবা দীননাথ। মা তারা দেবী পড়শিদের জানিয়েছেন, মানত পূরণে এ বার তিনি দুর্গাপুজো করবেন।
ধানবাদ কলেজের বিজ্ঞানের স্নাতক কুণাল শিখেছিলেন জাহাজ মেরামতির কাজ। ধানবাদ থেকেই ফোনে বললেন, “কিছু দিন দুবাইয়ে ছিলাম। তার পর ইরানে একটি জাহাজে মেকানিকের কাজ পাই।’’ কিন্তু হঠাৎ একদিন পুলিশ জাহাজ ঘিরে ফেলে। উদ্ধার হয় প্রচুর মাদক। কুণালদের গ্রেফতার করে পুলিশ। কুণাল জানান, তাঁরা মিস্ত্রির কাজ করতেন। জাহাজে কী আছে জানতেনই না। আদালতে খালাস পেয়ে তেহরান জেলের বাইরে যখন এসে দাঁড়ালেন তখন পকেটে একটি পয়সাও নেই। মোবাইল ফোনটিও ফেরত দেয়নি জেল। শেষ পর্যন্ত এক ট্যাক্সিচালকের বদান্যতায় পৌঁছন ভারতীয় দূতাবাসে। দূতাবাসেরই সহায়তায় দিন দুয়েক আগে ধানবাদ ফিরেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওই জাহাজে আরও তিন ভারতীয় ছিলেন। তাঁরা এখনও জেলবন্দি।’’ দূতাবাসকে সেই খবরটি কুণাল জানিয়ে এসেছেন।