মজুরি নেই বাগানে, অনশনে কমলাক্ষ

নোট-সঙ্কটের জেরে মজুরি পাচ্ছেন না চা বাগান শ্রমিকরা। সে দিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:২২
Share:

নোট-সঙ্কটের জেরে মজুরি পাচ্ছেন না চা বাগান শ্রমিকরা। সে দিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।

Advertisement

তাঁর বক্তব্য, বাগান শ্রমিকরা কাজ করেও মজুরি পাচ্ছেন না। বাড়িতে খাবার নেই তাঁদের। সে জন্যই তিনি ওই পদক্ষেপ করতে চলেছেন। আজ সাংবাদিক বৈঠকে কমলাক্ষবাবু জানান, করিমগঞ্জ প্রান্তিক শহর। ইন্টারনেট পরিষেবা সব সময় থাকে না। মহানগরীগুলির সঙ্গে এই জেলার তুলনা করলে চলবে না। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সরকারের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই। তার মাসুল দিতে হচ্ছে বাগান শ্রমিকদের। তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই টাকা কী ভাবে তুলবেন, তা বুঝতে পারছেন না কার্যত নিরক্ষর ওই শ্রমিকরা।’’

কমলাক্ষবাবু জানান, ‘বায়োমেট্রি’ যন্ত্রের সাহায্যে ব্যাঙ্কের সহায়করা শ্রমিকদের টাকা দিচ্ছেন। কিন্তু তাতেও সমস্যা হচ্ছে। ইন্টারনেট সংযোগে ত্রুটির জেরে মাঝেমধ্যেই বায়োমেট্রি যন্ত্র বিকল হয়ে যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, অনাহার-অর্ধাহারে প্রমোদনগর বাগানের দু’জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে। কাজ করলেও সাপ্তাহিক তলব পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। সংসার চালাতে প্রচণ্ড অসুবিধায় পড়েছেন সকলে।

Advertisement

এই বিষয়ে সরকারের নজর ঘোরাতে শনিবার থেকে অনশন শুরু করার ঘোষণা করেছেন তিনি। কমলাক্ষবাবু জানিয়েছেন, দু’দিনের মধ্যে বাগান শ্রমিকরা হাতে টাকা না পেলে অনশন শুরু করবেন। সে কথা তিনি জেলাশাসককে জানিয়ে দিয়েছেন। কমলাক্ষবাবু জানিয়েছেন, তিনি জেলা সদরে অনশনে বসবেন। শ্রমিকরা ধর্না দেবেন বিভিন্ন বাগানে। উল্লেখ্য, উত্তর করিমগঞ্জ সমষ্টিতে ৩টি চা বাগান রয়েছে। বিধায়কের অভিযোগ, ভারতবর্ষের অসংখ্য নাগরিক এখনও নিরক্ষর। বাগান শ্রমিকরাও তা-ই। তাই তাঁরা সহজে ক্যাশলেস প্রক্রিয়ার ব্যবহার করতে পারবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement