ছবি রয়টার্স।
ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ পর্যন্ত ভারত ৩৩৮ কোটি টাকার প্রতিষেধক অন্য দেশে রফতানি করেছে বলে আজ রাজ্যসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীষূষ গয়াল। গয়াল জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে ভারত মিত্র দেশগুলিকে প্রতিষেধক সরবরাহ করা শুরু করেছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা আগে নিজেদের চাহিদার দিকটি ভাবছি। তার পরে বন্ধুদেশগুলির জন্য টিকা পাঠাচ্ছি। এখনও পর্যন্ত ৩৩৮ কোটি টাকার টিকা রফতানি করেছে ভারত।’’ গয়াল আশ্বস্ত করেছেন, টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছে যাতে জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচি দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। কেন্দ্রের দাবি, আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশকে পিছনে ফেলে এখন টিকাকরণে শীর্ষে ভারত। মন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রক শুধু নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও সব রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন।
এ দিকে, তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ না হওয়ার যুক্তিতে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ছত্তীসগঢ় সরকার। প্রতিষেধকের শিশিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময়ের উল্লেখ না থাকায় আরও দুশ্চিন্তায় পড়েছে সরকার। কেন্দ্রের কাছে এই নিয়ে চিঠিও লিখেছে তারা। ইতিমধ্যেই কোভ্যাক্সিন সরবরাহ স্থগিত করারও আর্জি জানিয়েছে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যটি। যার প্রেক্ষিতে গত কাল চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, রাজ্যগুলিতে যে প্রতিষেধক পাঠানো হচ্ছে তা ‘সুরক্ষিত’। তিনি এ-ও লিখেছেন, ‘‘কোভ্যাক্সিনের শিশিতে মোয়াদ ফুরোনোর তারিখ উল্লেখ না থাকা নিয়ে আশঙ্কা সম্পূর্ণ অর্থহীন।
শিশিতে লাগানো লেবেলেই তার উল্লেখ রয়েছে।’’
গতকাল কেন্দ্র জানিয়েছে, বিদেশে করোনায় এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৭২ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে সৌদি আরবে (৯০৬)।
এ দিকে, কোভিডের জন্য অনুদান না পাওয়ায় পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণে কেরল সরকারকে সাড়ে ১১ কোটি টাকা দিতে পারবে না বলে আজ সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে অস্থায়ী প্রশাসনিক কমিটি।