প্রতীকী ছবি
চিনে কী ভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল তা জানতে দু’দিন আগেই আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। করোনার উৎস সন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দ্বারা ফের এক দফা তদন্তের দাবি তুলেছে অন্যান্য দেশগুলিও। যাকে সমর্থন করে লাদাখ নিয়ে চাপানউতোরের আবহে চিনকে কার্যত চাপে রাখল ভারত।
পশু-মাংসের বাজার থেকে ২০১৯ সালে চিনের উহান শহরে প্রথম ভাইরাসটির বিস্তার, না কি ওই বছর ডিসেম্বরে সে দেশের গবেষণাগার থেকে দুর্ঘটনাবশত ছড়িয়ে পড়েছিল সেটি, সে বিষয়ে তদন্ত করার দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার মতো একাধিক দেশ থেকে। মার্চে করোনার উৎস নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল হু। তবে তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি দেশগুলি। এই অবস্থায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, ‘‘কোভিডের উৎস নিয়ে হু-র প্রথম ধাপের সার্বিক সমীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর জন্য দ্বিতীয় দফায় গবেষণা প্রয়োজন।’’ হু প্রথম রিপোর্টটি প্রকাশ করার পরে আমেরিকা সংশয় প্রকাশ করেছিল যে, হু-র তদন্তকারী দলকে সম্পূর্ণ তথ্য দেয়নি বেজিং। চিনের নাম না করে অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, হু-র দ্বিতীয় দফার গবেষণার জন্য প্রত্যেকের সহযোগিতা জরুরি।
দিল্লিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ফলে সরকার ধীরে ধীরে লকডাউন তোলার পথে হাঁটবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সিঙ্গাপুরে করোনার নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্প্রতি টুইট করেছিলেন কেজরী। যার বিরোধিতা করে সিঙ্গাপুরের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, কেজরী ভারতের প্রতিনিধি নন। তাই তাঁর কথাকে রাষ্ট্রের বক্তব্য হিসেবে দেখা ঠিক না। আজও ভারতে কোভিড মোকাবিলায় সিঙ্গাপুরের ভূমিকার প্রশাংসা করে ভারতের হাই কমিশনার পি কুমার বলেন, করোনা যুদ্ধের রসদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করে চলেছে সিঙ্গাপুর। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়ার দেশগুলি থেকে চিকিৎসা সামগ্রী সিঙ্গাপুরে আসছে। সেখান থেকে সেনার জাহাজে বা বিমানে সেগুলি আবার ভারতে নিয়ে আসা হচ্ছে।’’ টিকার এই আকালের মধ্যে আশার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জানানো হয়েছে, জুলাই-অগস্ট থেকে কোভ্যাক্সিনের মাসিক উৎপাদন বাড়িয়ে ৬ থেকে ৭ কোটি ডোজ় করবে ভারত বায়োটেক।