ফাইল চিত্র।
গত এক বছরে কাশ্মীরে জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার ঠিক আগে ২৫০ জন যুবককে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানালেন বিদায়ী সেনা কমান্ডার ডি পি পাণ্ডে। পাণ্ডের মতে, এটাই তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য।
সম্প্রতি সেনার ১৫ নম্বর কোরের কমান্ডারের দায়িত্ব ছাড়ার আগে সাংবাদিক বৈঠকে পাণ্ডে বলেন, ‘‘কাশ্মীরে দায়িত্ব নেওয়ার সময়ে আমি দ্বিমুখী কৌশল নেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। এক দিকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্য দিকে যুবকদের জঙ্গি দলে যোগদান কমাতেও চেয়েছিলাম আমরা। আমি চাইনি কেউ অস্ত্র হাতে নিয়েছে বলে সংঘর্ষে তার মৃত্যু হোক। আর তার জন্য চোখের জল ফেলু বাবা, মা, বোনেরা।’’ পাণ্ডের দাবি, দু’দিকেই সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা।
বিদায়ী কমান্ডারের দাবি, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে অনেক বেশি গোয়েন্দা তথ্য পাচ্ছে। কারণ, কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বড় অংশই জঙ্গিদের উপরে অসন্তুষ্ট। তাঁরা চান না জঙ্গিরা তাঁদের বাড়িতে এসে আশ্রয় নিক। তাঁদের উপরে জঙ্গি সমর্থক তকমা লেগে যাক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘জঙ্গিদের হাতে কিছু আমেরিকান অস্ত্র এসেছে ঠিকই। কিন্তু তার পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
সামনেই অমরনাথ যাত্রা। পাণ্ডের আশ্বাস, ‘‘সব সময়েই যাত্রায় নাশকতা চালানোর চেষ্টা চলবে। কিন্তু বাহিনী সেই চেষ্টা ব্যর্থ করতে সক্ষম।’’