ফাইল চিত্র।
কোন আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) অ্যাড্রেস থেকে প্রধানমন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল, বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞরা এখন তা খতিয়ে দেখছেন। অসমর্থিত সূত্রের মতে, বিদেশের কোনও আইপি অ্যাড্রেস থেকে শনিবার রাতে ওই কাণ্ডটি ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। যদিও সরকারি ভাবে এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি এখনও।
প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া নিয়ে আজ লোকসভায় সরব হন বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। আজ জ়িরো আওয়ারে অধীর বলেন, ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রীর টুউটার অ্যাকাউন্ট গত দু’বছরে দু’বার হ্যাক হয়, তা হলে দেশবাসীর অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা কী ভাবে নিশ্চিত হবে? ভারতের নিরাপত্তা বড় বিপদের সামনে।’’ শনিবার মধ্যরাতে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে, তাতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ভারত সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসাবে বিটকয়েনকে বৈধতা দিয়েছে। কেন্দ্র যখন ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সবে বিল আনার কথা ভাবছে, তার ঠিক আগে এ ভাবে বিটকয়েন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও তার জন্য খোদ প্রধানমন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা।
ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রশ্নে সরকার কী ভাবছে, তা দেশকে জানাতে সংসদে সরকারের বিবৃতি দাবি করেছেন অধীর। তিনি বলেন,‘‘যখন সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কথা ভাবছে, তখন প্রধানমন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি-কে বৈধতা দেওয়ার টুইট করা হচ্ছে। সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে কী ভাবছে, তা সংসদে স্পষ্ট করুক।’’ একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট কী ভাবে গত দু’বছরে দু’বার হ্যাক হল, তা নিয়েও সরকারের ব্যাখ্যা দাবি করেছেন বিরোধীরা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, সম্ভবত কোনও বিদেশি আইপি অ্যাড্রেস থেকে প্রধানমন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়র্ক) ব্যবহার করে এই কাজ হয়ে থাকতে পারে। ভিপিএন-এর মাধ্যমে এই ধরনের কাজ করলে নিজেদের আইপি অ্যাড্রেস গোপন রাখা সম্ভব। সেই ক্ষেত্রে মূল অপরাধীকে চিহ্নিত করা সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। এ দিকে শেয়ারবাজারের মতো বিটকয়েনের ওঠাপড়া নজর রাখে এমন ওয়েবসাইটগুলির দাবি, গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর টুইট থেকে বিটকয়েনকে বৈধতা দেওয়ার ভুয়ো ঘোষণাতেও হঠাৎ করে সূচকের অস্বাভাবিক কোনও ওঠাপড়া ঘটেনি ওই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে।