নববর্ষের হুল্লোড় থামাতে গান মেলা

‘নিউ ইয়ার্স’-এর হুল্লোড়ের বিরোধিতা করে কেবল মাত্র বাংলা গানে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে শিলচরে শুরু হল তিন দিনের গান মেলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৪
Share:

‘নিউ ইয়ার্স’-এর হুল্লোড়ের বিরোধিতা করে কেবল মাত্র বাংলা গানে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে শিলচরে শুরু হল তিন দিনের গান মেলা।

Advertisement

এটি পঞ্চম বর্ষ। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টায় ধামাইলে মেতে ওঠার কর্মসূচি রয়েছে এ বারও। তবে ব্যতিক্রমও কম নয়। আজ সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রাকে ব্যতিক্রমী করে তোলেন চিত্তরঞ্জন দেবনাথ। স্ত্রী রমলা দেবনাথের হাত ধরে এই অন্ধ লোকসঙ্গীত শিল্পী গোটা শহর পরিক্রমা করেন। চারবছর স্থানীয় শিল্পীরাই অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন। এ বার রয়েছে কলকাতার মহিলা শিল্পীদের একটি দল।

লামডিং ও বাংলাদেশের আমন্ত্রিত শিল্পীরাও গাইবেন।

Advertisement

সমকাল এবং স্বরলিপি—এই দুই সাংস্কৃতিক সংস্থা গানমেলার আয়োজক। শিক্ষাবিদ জয়া দেব আজ প্রদীপ জ্বালিয়ে গানমেলার উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বাদল দে, সচিব বাবুল হোড়, এস বি দত্ত, অরিন্দম ভট্টাচার্য প্রমুখ।

গানমেলাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সামগ্রীর প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র। এর মধ্যে রূপকারের পোড়ামাটির সামগ্রী, স্বপন পালের শিল্পভাস্কর্যের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে হয়। রয়েছে পিঠেপুলির দোকানও।

জেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রাঙ্গণে

বিশাল মঞ্চ গড়ে তিন দিন ধরে লাগাতার চলবে গানবাজনার আসর। সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা—গান আর গান। আয়োজকদের পক্ষে গোরা চক্রবর্তী বলেন, শুরুতে গানের দল নিয়ে আশঙ্কায় ছিলাম। তিনদিন ১২ ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠান চালানো সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু প্রথম বছরেই চিন্তার অবসান হয়। গ্রাম-শহরের ছোট-বড় শিল্পীরা দল বেঁধে নাম লেখাতে থাকেন। এখন সময় দেওয়াই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement