গ্রেফতার সঞ্জয় কুটে।
ছয় বছরের ভারতীর অপরাধ ছিল সে ঠিক করে পড়া বলতে পারেনি। তার জেরে বাবা তাকে এমন শাস্তি দিল যে শেষ পর্যন্ত সে মারাই গেল! মর্মান্তিক এবং একই সঙ্গে নিষ্ঠুর এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের অওরাঙ্গাবাদে।
ঠিক কী হয়েছিল?
গত ৯ জুলাই মেয়েকে নিয়ে পড়াতে বসেছিলেন বাবা সঞ্জয় কুটে। শিক্ষকের দেওয়া হোমটাস্ক দেখানোর সময় মেয়েকে একটা পড়া জিজ্ঞাসা করেন সঞ্জয়। বাচ্চা মেয়েটি তার উত্তর দিতে পারেনি। ব্যস! রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন সঞ্জয়। প্রথমে ভারতীকে বেধড়ক মারধর করেন। এতেও তাঁর মনে হয়েছিল শাস্তি কম হয়ে গিয়েছে। আরও কঠিন শাস্তি দিতে তিনি একটি গোটা পেঁয়াজ নিয়ে এসে মেয়েটির মুখে ঠেসে ঢুকিয়ে দেন। সেটা গলায় গিয়ে আটকে যায়। এ সব ঘটছিল মেয়েটির মায়ের চেখের সামনে। তিনি বাধা দিতে গেলে ধমকে সরিয়ে দেন। গলায় পেঁয়াজ আটকে ক্রমশ মেয়েটির শ্বাসরোধ হতে শুরু করে। এই অবস্থা দেখেও স্থির ছিলেন সঞ্জয়। ছটফট করতে করতে মেয়েটি এক সময় নেতিয়ে পড়ে। মৃত্যু হয় মায়ের চোখের সামনেই। পড়ে যখন টনক নড়ে তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। নিজের অপরাধকে লুকোতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি জায়গায় মেয়ের দেহটি পুঁতে দেন সঞ্জয়। স্বামীর এত বড় অপরাধ সহ্য করতে পারেননি ভারতীর মা। প্রতিবেশী এবং আত্মীয়দের বিষয়টি জানান। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন সঞ্জয়ের নামে। পরে পুলিশ এসে মেয়েটির দেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতার করে সঞ্জয়কে।
আরও পড়ুন:
কলেজের বাগানে বসেই পরীক্ষা, টোকাটুকি