ফাইল চিত্র
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি এবং সেই সূত্রে কৃষক বিক্ষোভ মেটানোর সম্ভাব্য পথ নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হল সঙ্ঘ পরিবারের দু’দিনের বৈঠকে। নাগপুরে সঙ্ঘ ও তাদের শাখা সংগঠনগুলির এই আলোচনায় উঠে এল আফগানিস্তান পরিস্থিতিও।
সঙ্ঘ সূত্রের খবর, গত কাল ও আজ ওই সমন্বয় বৈঠকে পাঁচটি রাজ্যের আসন্ন ভোট নিয়ে মূলত কথা হয়েছে। ওই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে গোয়া, মণিপুর, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। সেখানে ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল নিয়ে বৈঠকে যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনই পঞ্জাবে কী ভাবে ক্ষমতা দখল করা সম্ভব, চর্চা হয়েছে তা নিয়েও। উঠেছে কৃষকদের আন্দোলনের বিষয়টিও। গত নভেম্বর থেকে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির সীমানায় বসে রয়েছেন কৃষকেরা। কোন পথে এগোলে শান্তিপূর্ণ ভাবে ওই বিক্ষোভের নিষ্পত্তি সম্ভব, তা নিয়েও সবিস্তার আলোচনা হয় বৈঠকে। সূত্রের মতে, অধিকাংশ সঙ্ঘ নেতাই মেনেছেন যে, কৃষকদের আন্দোলন দ্রুত প্রত্যাহার না হলে পঞ্জাবে ভাল ফলের আশা নেই, উপরন্তু কৃষিবহুল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেও খারাপ ফল করবে বিজেপি। তাই কৃষকদের সঙ্গে সরকারের আরও বেশি
আলোচনায় বসা উচিত বলে মত অধিকাংশ সঙ্ঘ নেতার। এ নিয়ে বিজেপির উপরে চাপ বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারাও।
তালিবানের আফগানিস্তান দখলের ফলে কাশ্মীরের আপাত শান্ত পরিস্থিতি নষ্ট হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বৈঠকে। সঙ্ঘ নেতারা একমত যে, কাশ্মীরের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের আরও তৎপর হওয়া দরকার। এ দেশের মুসলমান সমাজ যাতে তালিবানের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন, তার জন্যও উদ্যোগী হয়েছে সঙ্ঘ। সূত্রের মতে, তালিবানের উত্থানে ভারতের বিপদের সম্ভাবনার বিষয়টি নিয়ে আগামী সোমবার দেশের মুসলিম সমাজের কিছু বিশিষ্ট জনের সঙ্গে মুম্বইয়ে বৈঠকে বসবেন সঙ্ঘপ্রধান
মোহন ভাগবত।