আমবাসার রাস্তায় ফাটল।
ফের ভূকম্পন উত্তর-পূর্বে। এ বার উৎসস্থল ত্রিপুরায়। তবে কাঁপুনি টের পাওয়া যায় অসমের বিভিন্ন প্রান্তেও। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ দুপুর ২টো ৩৯ মিনিটে ভূমিকম্প শুরু হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৭। কেন্দ্রস্থল ত্রিপুরার ধলাই জেলায়, মাটির ২৮ কিলোমিটার নীচে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক জায়গায় বাড়িতে ফাটল ধরে। ভূমিকম্পের আতঙ্কে হৃদ্রোগে আক্রন্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। কম্পন টের পেতেই আতঙ্কে বাড়ি-অফিসের বাইরে বেড়িয়ে আসেন মানুষ। আগরতলার একটি বহুতলের বাসিন্দারা জানান, এমন তীব্র কম্পন তাঁরা আগে কখনও অনুভব করেননি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধলাই জেলার কমলপুরের মহকুমার মায়াছড়িতে ভূমিকম্পে আতঙ্কে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য, তাঁর নাম কমলিনী কন্দ। কমলপুরের মহকুমাশাসক শুভাশিস দাস বলেন, ‘‘সম্ভবত আতঙ্কে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন ওই মহিলা।’’ রাজ্য প্রশাসনের প্রাথমিক হিসেব, ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মাটির ঘরে ফাটল ধরেছে।
ত্রিপুরা-লাগোয়া করিমগঞ্জেও ভূকম্পন টের পাওয়া যায়। ডিএমের দফতরের কর্মী থেকে শুরু করে অলিগলির মানুষ, সবাই নেমে আসেন রাস্তায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। কম্পন বোঝা যায় গুয়াহাটিতেও।