দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফরমান’ ঘিরে বিতর্ক। ফাইল চিত্র।
হোলির দিন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দেখা দিল। কিছু দিন আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার আগে হস্টেল থেকে বেরোতে পারবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা আবাসিকরা। এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি’ এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন মহিলা আবাসিকরা। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রবিবার তাঁরা হস্টেলের ভিতরেই স্লোগান দেন।
গত ২ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, বুধবার, হোলির দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হস্টেল ছাড়তে পারবেন না দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজীব গান্ধী মহিলা হস্টেলে থাকা পড়ুয়ারা। ওই সময়ের মধ্যে হস্টেলে বাইরের কাউকে ঢোকার অনুমতিও দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ হেন সিদ্ধান্তকে ‘নীতিপুলিশি’ বলে মনে করছেন পড়ুয়াদের একাংশ। বিতর্ক দেখা দিতেই কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, প্রতি বছরই এই নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়। তা ছাড়া নির্দিষ্ট জায়গায় নিজেদের নাম লিখে পড়ুয়ারা বেরোতে পারবেন বলেও জানানো হয়। পড়ুয়াদের পাল্টা প্রশ্ন, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়াকে কেন নাম লিখে বাইরে বেরোতে হবে?
বুধবার সারা দিন হস্টেলের মধ্যেই জমায়েত করে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন পড়ুয়াদের একাংশ। এক পড়ুয়া এই প্রসঙ্গে জানান, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তাঁরা নানা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের জন্য হোলির সকালে তাঁরা হস্টেলের বাইরেই বেরোতে পারলেন না।