দুর্ঘটনার পর গাড়ির ছবি। — ফাইল ছবি।
মত্ত অবস্থায় ফোনে কথা বলতে বলতে তীব্র গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন হরিশঙ্কর বৈষ্ণব। তা দেখে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে জরিমানা করে। তাতেই মেজাজ হারিয়ে আবার ফিরে এসে পুলিশের গাড়িকেই উড়িয়ে দিলেন হরিশঙ্কর। রাজস্থানের জোধপুরের একটি জাতীয় সড়কে মৃত্যু হল এক পুলিশ আধিকারিকের। প্রাণে বাঁচেননি হরিশঙ্করও।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ জোধপুর-নাগাউর হাইওয়ে দিয়ে তীব্র গতিতে এসইউভি চালিয়ে যাচ্ছিলেন হরিশঙ্কর। অভিযোগ, নাগাউরের জালাসু নানকের বাসিন্দা হরিশঙ্কর মত্ত অবস্থায় ছিলেন। পাশাপাশি মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে তিনি দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তা দেখতে পান রাজস্থান পুলিশের এক আধিকারিক ভাওরলাল বিষ্ণোই। তিনি হরিশঙ্করকে গাড়ি থামাতে বলেন। তার পর আইন অনুযায়ী জরিমানা করা হয়। তাতেই রেগে গিয়ে হরিশঙ্কর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান।
কিছু ক্ষণ পর আবার উল্টো দিক দিয়ে ফিরে আসেন হরিশঙ্কর। পুলিশ সূত্রে খবর, হরিশঙ্কর ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে হাইওয়ে ধরে আবার ফিরে আসেন। এসইউভির গতি বিন্দুমাত্র না কমিয়ে সোজা ধাক্কা দেন পুলিশের গাড়িতে। সেই গাড়িতেই তখন বসেছিলেন ভাওরলাল। দু’টি গাড়িই ছিটকে পড়ে। পুলিশের গাড়িটি দলা পাকিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভাওরলালের। সেই গাড়িতেই চালকের আসনে বসেছিলেন কনস্টেবল অশোক সিংহ। তিনিও গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার অভিঘাতে মৃত্যু হয়েছে হরিশঙ্করেরও।