—ফাইল চিত্র।
সিবিআইকে ঘিরে রাজনৈতিক লড়াইয়ে, সিবিআইয়ের সাংবিধানিক অবস্থান নিয়ে পাঁচ বছরের পুরনো মামলা ফের মাথা চাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল।
২০১৩-র নভেম্বরে গৌহাটি হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, সিবিআইয়ের তদন্ত চালানো, গ্রেফতার করা, চার্জশিট দেওয়ার অধিকার নেই। কারণ ১৯৬৩ সালে কেন্দ্রের এক প্রস্তাবের মাধ্যমে সিবিআই তৈরি হয়। তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন তদানীন্তন স্বরাষ্ট্রসচিব ভি বিশ্বনাথন। কিন্তু সিবিআইকে নিয়ে কোনও আইন পাশ করা হয়নি। এই রায়ের পরেই কেন্দ্রের আর্জিতে সুপ্রিম কোর্ট গৌহাটি হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে। কিন্তু তার পরে পাঁচ বছর কেটে গেলেও সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে আর কোনও শুনানি হয়নি। ধামাচাপা পড়ে থাকা ওই মামলার শুনানির জন্য খুব শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানোর কথা ভাবছেন অনেকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সমস্ত বিরোধী দল জোটবদ্ধ হয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানোর অভিযোগ তুলেছেন। সিবিআই নিজেই অসাংবিধানিক কি না, তা নিয়ে প্রশ্নের ফয়সালা হওয়া দরকার বলে মনে করছেন প্রবীণ আইনজীবীরাও। সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহর মতে, ‘‘সিবিআইয়ের নিজস্ব বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। সিবিআই কেন্দ্রের একটি প্রস্তাবের উপর ভর করে রয়েছে। তাকে গৌহাটি হাইকোর্ট বেআইনি বলেছে। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা ধামাচাপা দেওয়া রয়েছে। এ দিকে সিবিআইকে কাজে লাগিয়েই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে আঘাত আসছে।’’ কংগ্রেস নেতা, আইনজীবী মণীশ তিওয়ারিও সম্প্রতি সিবিআইয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজীব চোর? আমি চোর? পুলিশের উপর রাজনৈতিক আক্রমণ হলে ছাড়ব না: মমতা