এএসটিসি অধীক্ষকের ব্যবহারে মেজাজ হারালেন করিমগঞ্জের জেলাশাসক মনোজকুমার ডেকা। জেলা পরিবহণ বিভাগ, পুলিশ, নৈশ বাস মালিক এবং এএসটিসি অধীক্ষকের সভায় রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করলেন জেলাশাসক। জানিয়ে দিলেন, এএসটিসি অধীক্ষক স্বভাব পরিবর্তন না করলে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন তিনি। প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলারও হুঁশিয়ারি দেন জেলাশাসক।
সোনাপুরে নৈশ বাস দুর্ঘটনায় করিমগঞ্জের ২ জন যাত্রীরও মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় লাগাম টানতে জেলাশাসক-সহ অন্য আধিকারিকরা সভায় কয়েকটি পরামর্শ দেন। নৈশ বাসের ছাদে কোনও জিনিস তোলা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীদের সঙ্গে থাকা সামগ্রী শুধুমাত্র গাড়ির নীচে থাকা কেবিনে রাখতে হবে। কিন্তু বাসমালিকরা জানান, বেহাল রাস্তার জন্য বরাক উপত্যকায় নৈশ বাসগুলির এমনিতেই লোকসান হচ্ছে। প্রায় প্রতি দিনই গাড়ির কোন না কোন যন্ত্র মেরামত করতে হচ্ছে। যা যাত্রীভাড়া থেকে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই গাড়ির নীচের কেবিনে পণ্যসামগ্রী তুলতে দেওয়া না হলে গাড়ি চালানো সম্ভব নয় বলে মালিকরা জানিয়ে দেন। এই বিষয়টি দেখতে জেলা পরিবহণ আধিকারিককে নির্দেশ দেন জেলাশাসক।
তখনই সভায় চিৎকার করে কথা বলতে থাকেন করিমগঞ্জের এএসটিসি অধীক্ষক। জেলাশাসক বার বার তাঁকে সংযত হয়ে কথা বলতে বলেন। অভিযোগ, তিনি তা মানেননি। জেলাশাসক জানান, এএসটিসি কাউন্টারে টিকিট কাটা হয় না বলে বেশি ভাড়া সংগ্রহ করছেন চালকরা। বার বার জানানোর পরও এএসটিসি অধীক্ষক এ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেননি। ওই অবৈধ ব্যবসায় অধীক্ষকের মদত রয়েছে বলে জেলাশাসক অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অধীক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানিয়ে দেন জেলাশাসক।