প্রতীকী ছবি।
গুজরাত বিধানসভার ভোটের মুখে উত্তরপ্রদেশের পুরভোটে শুক্রবারই ‘গেরুয়া ধ্বজা’উড়িয়েছিলেন যোগী। এ বার সেই ‘গেরুয়া ধ্বজা’ ওড়ানোর পিছনে ইভিএম কারচুপির দিকে আঙুল তুললেন বিরোধীরা। পাশাপাশি, রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবের চ্যালেঞ্জ ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে ভোট কারানো হোক। মায়াবতীর চ্যালেঞ্জ, ২০১৯-এর লোকসভা ভোট ব্যালট পেপারে হলে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ পুরসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ১৬টি নগর নিগমের মধ্যে ১৪টি আসনে জিতেছে বিজেপি। বহুজন সমাজ পার্টি(বিএসপি) জিতেছে ২টিতে। আর খাতা খুলতেই পারেনি সমাজবাদী পার্টি (সপা) এবং কংগ্রেস।
পুরসভার ফলাফল সামনে আসতেই বিজেপিকে আক্রমণের পথে গিয়েছে বিএসপি আর সপা। দু’নম্বরে উঠে আসার পরই মায়াবতীর দাবি,দেশবাসীর রায় তাদের পক্ষে। বসপা নেত্রীর কথায়, ‘‘গোটা দেশ তাদের সঙ্গে আছে বলে বিজেপি দাবি করছে। ক্ষমতা থাকলে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালটেভোট করাক বিজেপি। সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’ মায়াবতীর অভিযোগ, ‘‘এ বারের পুরভোটে প্রশাসনকে অপব্যবহার করা হয়েছে।না হলে আরও অনেক আসনে জিততাম আমরা।’’
আরও পড়ুন: ছেলে কোথায়? সাইকেলে দেড় হাজার কিলোমিটার চষে ফেললেন বাবা
রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও মায়াবতীর সুরেই সুর মেলাতে শোনা গিয়েছে সমাজবাদী পার্টিকেও। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) সভাপতিঅখিলেশ সিংহ যাদবের অভিযোগ, বিজেপির এই জয়ের পিছনে রয়েছে ইভিএমের কারসাজি। টুইট করে অখিলেশ দাবি করেছেন, ব্যালটেভোট হওয়া আসনগুলির মাত্র ১৫ শতাংশে জিতেছে বিজেপি।কিন্তু, ৪৬ শতাংশ আসন পেয়েছে যেগুলিতে ইভিএমে ভোট হয়েছে। তবে, নিজের দাবির সমর্থনে অবশ্য কোনও পরিসংখ্যান দেননি তিনি।