কুনেরু স্টেশনে বেলাইন হয়ে যাওয়া ট্রেনে তখন উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
হীরাখণ্ড এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। জখম অন্তত ৫৪ জন। জখমদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার জেরে পূর্ব উপকূলীয় রেলের বিভিন্ন শাখায় ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ জগদলপুর থেকে ভুবনেশ্বরগামী হীরাখণ্ড এক্সপ্রেস অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরম জেলায় বেলাইন হয়েছে। ২২টি কামরার মধ্যে ৯টিই এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাত থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল। রবিবার সকাল থেকে মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে। বিকেল পর্যন্ত দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া কামরাগুলি থেকে অন্তত ৫৪ জনকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৩৬-এ পৌঁছে গিয়েছে।
দুর্ঘটনার জেরে রায়গড়া-বিজয়নগরম লাইনে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত। তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের অর্ধেকটাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ভুবনেশ্বরের দিকে। রায়গড়া-অণুগুল হয়ে ট্রেনটি ভুবনেশ্বর পৌঁছবে বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। যে ১৩টি কামরার কোনও ক্ষতি হয়নি, সেগুলিকেই পাঠানো হয়েছে ভুবনেশ্বরের দিকে। প্রয়োজন হলে রায়গড়া থেকে ওই ট্রেনে নতুন কামরা জুড়ে দেওয়া হতে পারে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন। ছবি: পিটিআই।
এই দুর্ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে রেলের তরফে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে রেল মন্ত্রক ঘোষণা করেছে। জখম ব্যক্তিরা ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন। অন্য দিকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। মৃতদের মধ্যে যাঁরা অন্ধ্রের বাসিন্দা, তাঁদের পরিবারকে রাজ্য সরকার ৫ লক্ষ টাকা করে দেবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অন্ধ্রপ্রদেশে লাইনচ্যুত জগদলপুর-হিরাখণ্ড এক্সপ্রেস, দেখুন ছবি
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে রেলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলে রেলের মুখপাত্ররা জানিয়েছেন। অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও তাঁরা উড়িয়ে দেননি।