প্রতীকী ছবি
ওষুধ না পেলে প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছিলেন কয়েক সপ্তাহ আগে। এখন ভারতের প্রতি দরাজহস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য ভারতকে বাড়তি ৩০ লক্ষ ডলার অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করল তাঁর প্রশাসন। ইউএসএইড সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা তারা দেবে। এর আগে ৬ এপ্রিল করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রাথমিক ভাবে ২৯ লক্ষ ডলার ভারতকে দিয়েছিল আমেরিকা। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘এই বাড়তি পুঁজি ভারতকে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করবে।’
শুধু বাড়তি অনুদান দেওয়াই নয়। ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক বিবৃতিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মে মাসকে ‘এশিয়া-আমেরিকা হেরিটেজ মান্থ’ হিসাবে ঘোষণা করে ট্রাম্প তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফরের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এবং বৈচিত্রপূর্ণ দেশের সঙ্গে আমাদের দেশের বন্ধুত্বই ফুটে উঠেছে ওই সফরে।” ট্রাম্পের কথায়, “আমার ভারত সফরে এ কথাও স্পষ্ট হয়েছে, ভারত এবং আমেরিকা একটি সামগ্রিক কৌশলগত সম্পর্ক তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যা দু’দেশের স্বার্থই সিদ্ধ করবে, দু’দেশের উপকারে আসবে।’’ ট্রাম্প বলেন, “টেক্সাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে আমি গর্বিত।’’
পাশাপাশি আজ আমেরিকার বিদেশসচিব মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থা এবং বাণিজ্যকে নতুন করে সংস্কারের জন্য তাঁরা ভারত-সহ বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলছেন। ওষুধের রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য মোদী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পম্পেও। তাঁর কথায়, “আমরা ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া, নিউজিল্যান্ডের মত বন্ধু রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কথা বলছি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনীতি যাতে আবার পুরনো জায়গায় ফিরে আসে, সমস্ত দেশের মধ্যে পণ্য সরবরাহ যাতে মসৃণ হয়, সেটার জন্যই এই কথাবার্তা চালানো হচ্ছে। এরকমই একটা উদাহরণ হল ভারত। তারা কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের উপর থেকে রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।”
আরও পড়ুন: ‘বয়স কম বলেই মৃত্যু কম ভারতে’