প্রতীকী ছবি।
চার মাসের মধ্যে আজ দেশে অ্যাক্টিভ কোভিড রোগীর সংখ্যা সর্বনিম্ন ছিল বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের বক্তব্য, এই নিয়ে টানা আট দিন দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ছিল বেশি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘আজ দেশে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ১০ হাজারের কাছাকাছি। সেই সঙ্গে সুস্থতার হারও ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে তা ৯৪.২৮ শতাংশে পৌঁছেছে।’’
এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ লক্ষ আট হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫১২ জনের। আক্রান্তদের ৭৮ শতাংশ ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বাসিন্দা। সেই তালিকার মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, ছত্তীসগঢ়। সংক্রমণের হার এই প্রথম পাঁচ শতাংশের নীচে নামল মহারাষ্ট্রে।
এই পরিস্থিতিতে করোনার প্রতিষেধক এলে তা সংরক্ষণের জন্য পরিকাঠামো উন্নত করার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
মন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগী জানিয়েছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কোল্ড স্টোরেজের ক্ষমতা বাড়িয়ে আড়াই লক্ষ লিটার তরল সংরক্ষণ করা যাবে এমন ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি জেলা ও প্রদেশে কোল্ড চেন পরিষেবার ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন তিনি।
এ দিকে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। ওই ক্লাসের পড়ুয়াদের কোনও পরীক্ষা হবে না বলেও জানানো হয়েছে। বোর্ডের পরীক্ষার জন্য দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে পারবে। তবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ যাবতীয় স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে সব পড়ুয়াকেই।