রবিবার রাস্তাঘাটের আলো জ্বলবে।—ফাইল চিত্র।
দেশ জুড়ে সমস্ত বাড়িতে আলো নেভানো হলে পাওয়ার গ্রিডের কোনও ক্ষতি হবে না। দেখা দেবে না ভোল্টেজ ওঠা-নামা সংক্রান্ত কোনও সমস্যাও। শনিবার বিবৃতি প্রকাশ করে এমনই আশ্বাস দিল কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক।
করোনা সঙ্কটে দেশে যে আঁধার নেমে এসেছে, তা কাটিয়ে আলোর দিকে এগিয়ে যেতে রবিবার রাত ৯টা থেকে ৯ মিনিটের জন্য সমস্ত দেশবাসীকে বাড়ির আলো নিভিয়ে মোমবাতি-প্রদীপ জ্বালিয়ে ‘মহাশক্তি’-কে জাগ্রত করার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু একসঙ্গে দেশ জুড়ে আলো নিভিয়ে ৯ মিনিট পর ফের সব জ্বালালে বাড়তি বিদ্যুতের চাপে পাওয়ার গ্রিড জোরালো ধাক্কা খেতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এ দিন বিবৃতি প্রকাশ করে সেই জল্পনা উড়িয়ে দেয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক। বলা হয়, ‘‘অনেকে আশঙ্কা করছেন, সমস্ত আলো নেভানো হলে পাওয়ার গ্রিডের ক্ষতি হতে পারে। সমস্যা দেখা দিতে পারে ভোল্টেজ ওঠা-নামারও। তাতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু এই আশঙ্কা একেবারে ভুল। ভারতীয় পাওয়ার গ্রিড যথেষ্ট শক্তিশালী এবং টেকসই। চাহিদা অনুযায়ী পরিস্থিতি যাতে সামাল দেওয়া যায়, তার সবরকম ব্যবস্থাও করা রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: নতুন করে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১১, এই মুহূর্তে মোট আক্রান্ত ৪৯
আরও পড়ুন: করোনা আবহে আগামী ৮ এপ্রিল সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক নরেন্দ্র মোদীর
প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র বাড়ির আলো নেভানোর কথা বলেছেন, রাস্তাঘাট বা হাসপাতালগুলিতে যেমন আলো জ্বলে, তেমন জ্বলবে বলেও সাফ জানিয়ে দেয় বিদ্যুৎমন্ত্রক। বলা হয়, ‘‘৫ এপ্রিল রাত ৯টা থেকে ৯ মিনিটের জন্য বাড়ির আলো নেভানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাস্তার আলো বা বাড়ির কম্পিউটার, টিভি, পাখা, ফ্রিজ, এসি বন্ধ রাখার কথা বলেননি। শুধু আলো নেভালেই চলবে। হাসপাতাল এবং জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার দফতর, পুরসভার দফতর, থানা, কারখানাগুলিতে আলো জ্বলবে। শুধুমাত্র বসতবাড়ির আলো নেভানোর কথাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’’
দেশ জুড়ে আলো নেভানোর পর তা একসঙ্গে জ্বালানো হলে বাড়তি বিদ্যুতের চাপে পাওয়ার গ্রিড জোরালো ধাক্কা খেতে পারে বলে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা। তার জেরে রবিবার রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ধাপে ধাপে রাজ্যে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তার পরেই শনিবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।