জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ছবি: এএফপি।
পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশে ফেরার পরেই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুক্রবার রাতে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলছিলেন, ‘‘ভারত-পাক সম্পর্ক একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। সেটা নিয়ে ছেলেখেলা চলে না!’’ আর আজ একেবারে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে এই সফরের অভিসন্ধি নিয়েই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। শনিবার কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি টুইট করেন, “শোনা যাচ্ছে থিম্পুতে নরেন্দ্র মোদী এবং নওয়াজ শরিফের বৈঠকের সময়ে এক ইস্পাত ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। তিনি নাকি এখন লাহৌরে আছেন। আমরা কি কিছু অনুমান করতে পারি?”
সফরের অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্নের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের সফরকে জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকর বলেও মন্তব্য করেছেন মণীশ। তাঁর দাবি, “প্রধানমন্ত্রী হয়ত কাবুলে ব্রেকফাস্ট করে লাহৌরে চা খেয়ে দিল্লিতে ডিনার করতে পারেন। কিন্তু তাঁর এই ধরনের কাজে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।”
শুধুমাত্র মণীশ নয়, কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্র শর্মা বলেছেন, “মোদী নিজেই বলেছিলেন, চিন মডেল অনুসরণ করে এগোনো ভাল। কথাবার্তা হোক, কিন্তু মৈত্রী নিয়ে অতি নাটকীয়তা এবং অতি গুরুত্ব না দেওয়াই শ্রেয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেই এখন তা মানছেন না।” তাঁর আরও অভিযোগ, “বিজেপি বরাবর বলে এসেছে যে, কংগ্রেস পাকিস্তানকে বিরিয়ানি খাওয়াতে চাইছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী এখন নিজেই পাকিস্তানে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে আসছেন।”
কংগ্রেসের যাবতীয় অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। দলের তরফে প্রকাশ জাভরেকর বলেন, “পাক প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সারা বিশ্ব তাঁর এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে। এক মাত্র কংগ্রেসই এর বিরোধিতা করছে।”
আরও পড়ুন:
শুভ জন্মদিন নওয়াজ, দিল্লি ফেরার পথে মোদী হঠাৎ লাহৌরে
ছিল না প্রত্যাশার চাপ, তাই আলোচনা এগোল খোলা মনে
আগামী মাসে ফের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসছে ভারত-পাক
যতটা নাটক, ভারত-পাক মৈত্রী ততটা দৃঢ় হচ্ছে কি?