নুপূর শর্মাকে বরখাস্ত করল বিজেপি
টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জেরে মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে দল থেকে বরখাস্ত করল বিজেপি। জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে করা ওই মন্তব্যের জেরে উত্তরপ্রদেশের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এর পরেই তড়িঘড়ি রবিবার গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, দলীয় মুখপাত্রের ওই মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে না দল। ঠিক তার পরেই বরখাস্ত করা হল নূপুরকে।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের আলোচনা সভায় গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নূপুরের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়েছে। তা নিয়ে শোরগোলের আবহে রবিবার বেলার দিকে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহের স্বাক্ষর করা বিবৃতি প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাতে লেখা হয়, ‘বিজেপি কোনও ধর্মেরই বিরুদ্ধে নয়। কোনও ধর্ম বা সম্প্রদায়কে অবমাননা করার আদর্শে বিশ্বাস করে না বিজেপি। এই ধরনের দর্শন বিজেপি প্রচারও করে না।’ ভারতীয় সংবিধান যে প্রত্যেক নাগরিককেই নিজের ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। যদিও এই বিবৃতি মুখপাত্রের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কি না, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
যদিও এর পরেই দলের নূপুরকে চিঠি পাঠায় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন বিষয়ে দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধ মতামত প্রকাশ করে দলীয় সংবিধানের ১০ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছেন নূপুর। তাই তাঁকে দল থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। নূপুর ছাড়াও দিল্লি বিজেপির মিডিয়া ইন-চার্জ নবীন কুমার জিন্দলকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিজেপি মুখপাত্রের মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে গত ৩ জুন গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনার পর ৮০০ জনকে আটক করা হয়েছে। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’-সহ ২৪ জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । এই গোটা ঘটনায় পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এরও যোগ আছে বলে দাবি করেছে কানপুর পুলিশ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।