ফাইল চিত্র।
মণিপুরের রাজনৈতিক সমস্যা কাটাতে হিমন্তবিশ্ব শর্মাই ভরসা বিজেপির। বিজেপির তিন বিধায়কের পদত্যাগ এবং এনপিপির সমর্থন প্রত্যাহারের পরেই বিপদ বুঝে নেডা জোটের চেয়ারম্যান তথা অসমের অর্থ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তকে ইম্ফলে পাঠান অমিত শাহ। তাঁর চালে শুধু রাজ্যসভার আসন জেতাই নয়, আপাতত টিকে গিয়েছে মণিপুরের প্রায় হাতছাড়া হওয়া সরকার। আলোচনা চলছে জোট ত্যাগ করা এনপিপির সঙ্গেও।
২০১৮ সালে কংগ্রেস ২৮ আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হওয়ার পরেও বিধায়ক ভাঙিয়ে মণিপুরে বিজেপি সরকার গড়ার প্রধান কারিগর ছিলেন হিমন্ত। শাসক জোটে ভাঙন ধরিয়ে কংগ্রেস ভেবেছিল, করোনা সামলাতে গোটা অসম ছুটে বেড়াতে হচ্ছে হিমন্তকে। তার উপরে গলব্লাডারে স্টোনের ব্যথায় কাতর। লকডাউনের মধ্যে এ বারে হয়তো তিনি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের ত্রাতা হতে পারবেন না। কিন্তু মণিপুরে সরকার বিপদে পড়তেই চার্টার্ড বিমানে ইম্ফলে যান হিমন্ত। ভিন্ রাজ্যে গিয়ে দিনের দিন ফিরলে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে থাকার নিয়ম থেকে ছাড় পাওয়া যায়। তাই রাত কাটাননি হিমন্ত। কংগ্রেসের দুই নেতা অজয় মাকেন ও গৌরব গগৈ ইম্ফলে গিয়ে বিপাকে পড়েন। তাঁদের দু’টি পৃথক হোটেলে কড়া কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে, কোনও কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখাও করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: জাপানি লোগো কেন্দ্রের সাইটে! হ্যাকিং-আশঙ্কা
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপির জাতীয় সভাপতি কনরাড সাংমাকে নিয়ে গত কাল ফের চার্টার্ড বিমানে ইম্ফল যান হিমন্ত। অমিত শাহ কনরাডকে নিজে গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর অনুরোধ জানান। এনপিপি বিধায়কেরা জোটত্যাগের জন্যে বীরেনের একনায়কতন্ত্রকে দায়ী করেছেন। বিজেপির বিক্ষুব্ধ শিবিরও অবিলম্বে নেতৃত্ব বদল চেয়েছে।
আরও পড়ুন: গুয়াহাটি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে
আজ হিমন্ত বলেন, “জোট শরিকদের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সকলের অভিযোগ মেটানো হবে। আগামী কাল আবার ইম্ফল যাচ্ছি। স্পিকার অনেকের সদস্যপদ খারিজ করেছেন। তাই বড়সড় উপ-নির্বাচন হবে। নেডা ও এনডিএ জোটধর্মের আদর্শ মেনেই সব সামলানো যাবে।”