নোট বাতিলে মোদীর উপর চাপ বাড়াচ্ছে মজদুর সঙ্ঘও

নোট বাতিলের জেরে উভয়সঙ্কটে সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস)।

Advertisement

অঞ্জন সাহা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৪
Share:

নোট বাতিলের জেরে উভয়সঙ্কটে সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস)।

Advertisement

নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকে বাজারে টাকার জোগান কম। যার জেরে সব থেকে বড় ধাক্কা এসেছে অসংগঠিত ক্ষেত্রে। নির্মাণ শিল্প, বাগিচা, কৃষি ক্ষেত্রে জড়িয়ে থাকা কর্মী, গাড়ি শিল্প থেকে শুরু করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা— অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের উপর এখন চাপ প্রবল। কোথাও মজুরি মিলছে না, কোথাও আবার নগদে মজুরির ব্যবস্থা করতে হিমশিম অবস্থা। বাজারের মন্দা দেখে কাজই বন্ধ করেছে অনেক সংস্থা। কালো টাকা উদ্ধারে সরকারের সিদ্ধান্তের ধাক্কা যে ভাবে শ্রমিকের রোজগারের উপর পড়েছে, তাতে প্রবল চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছে বিএমএস। এক দিকে শ্রমিক-সমর্থকদের রোজগারে টান, অন্য দিকে মোদী সরকার। তাই ভারসাম্য রাখার খেলায় নামতে হয়েছে তাদের।

বিএমএস এখন দেশের সব থেকে বড় শ্রমিক সংগঠন। কিন্তু রোজগারের সঙ্কটে সমর্থকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে জুড়ে থাকা শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি বা সিটু, এআইটিইউসি-র মতো বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি। এরা নোট বাতিলের জেরে মানুষের ভোগান্তি নিয়ে দেশজুড়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। তাদের ক্ষোভ, প্রস্তুতি ছাড়াই কী কারণে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল সরকার। টাকা হাতে না পাওয়ায় বিস্তর ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ নিয়ে অন্য কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির লাগাতার মোদী-বিরোধী প্রচার বিএমএসকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের হাতে টাকার জোগানের ব্যবস্থা করতে মোদী সরকারের সঙ্গে দর কষাকষিতে নেমেছে সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠন। বিএমএসের সভাপতি বৈজনাথ রাই বলেন, ‘নোট বাতিলের পরে বেশ কিছু জায়গায় অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। নগদের জোগান না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা মোদী সরকারকে বলছি, দ্রুত এ সব মেটানোর চেষ্টা হোক। টাকার জোগানের ব্যবস্থা করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement