কাশ্মীরবাসীকে ফের কাছে টানার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। তার আগে, ফের এক বার কাশ্মীরবাসীকে কাছে টানার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে বিরোধীদের ‘মাওবাদী এবং জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন’ বলেও আখ্যা দিলেন তিনি।
দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর, বুধবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ৭৫ দিন পূর্ণ হয়েছে তাঁর। সেই উপলক্ষে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানেই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ নিয়ে মুখ খোলেন। দেশের স্বার্থেই তাঁর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। মোদীর কথায়: ‘‘জম্মু-কাশ্মীরের ভাইবোনেদের বলতে চাই, এ বার আপনারাই নিজেদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে পারবেন। নেতা নির্বাচন করতে পারবেন নিজেদের মধ্য থেকেই। আগেও যেমন একদল বিধায়ক ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। আগে যেমন মন্ত্রিপরিষদ ছিল, তা-ও অপরিবর্তিত থাকবে। একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রীও থাকবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, নতুন নিয়ম-কানুন মেনে একজোট হয়ে কাজ করলে, জম্মু-কাশ্মীরকে সন্ত্রাস এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের হাতে থেকে মুক্ত করতে পারব আমরা।’’
শুরু থেকেই কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ এবং জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ, দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। এ দিন তাদেরও একহাত নেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করলেই এদের স্বার্থে ঘা লাগে। তখনই প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। সাধারণ মানুষকে জল সরবরাহের একটি প্রকল্পও চালু করতে গেলে বিরোধিতা করবে। নতুন রেললাইন বসাতে গেলে, তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানাবে। শুধুমাত্র মাওবাদী এবং সন্ত্রাসবাদীদের জন্যই ওদের মন আকুল হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষকে চিরকালই দমিয়ে রেখেছে।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি বিমানবন্দরে আটক, শ্রীনগরে গৃহবন্দি করা হল প্রাক্তন আইএএস অফিসার শাহ
গণতান্ত্রিক দেশে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে মতবিরোধ থাকবেই, কিন্তু সবার আগে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত বলে মত নরেন্দ্র মোদীর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জম্মু-কাশ্মীরকে হৃত মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তবে লাদাখ পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই থাকবে।