নরেন্দ্র মোদীর মুদ্রানীতিতে সঙ্কটে শিলচরের গেরুয়া সংগঠন!
তিন দিনের আরোগ্য মিত্র সম্মেলনের আয়োজন করতে নেমে নগদ-সঙ্কটে হাবুডুবু খাচ্ছেন আরএসএস-এর শাখা সংগঠন কেশব স্মারক সংস্কৃতি সুরভি।
বরাক উপত্যকা, ডিমা হাসাও, ত্রিপুরা ও মিজোরাম নিয়ে সংগঠনের দক্ষিণ অসম প্রান্ত। ওই প্রান্তে কর্মরত রয়েছেন ১ হাজার ২০০ আরোগ্য মিত্র। তাঁরা গ্রাম-গ্রামান্তরে নিঃশুল্ক হোমিওপ্যাথি সেবা প্রদান করেন। তাঁদের নিয়েই হবে তিনদিনের সম্মেলন। ২১ জানুয়ারি তার উদ্বোধন করবেন অসমের রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত। তৃতীয় দিন সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখাতে তাঁরা রাজ্যের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
হাজারখানেক প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন, সেই হিসেবেই প্রস্তুতি চলছে শিলচরের ঘুংঘুরে পশু চিকিৎসালয় চত্বরে। গত বছর অগস্ট থেকেই সম্মেলনকে সফল করতে মাঠে নামেন পুরো গেরুয়া পরিবার। প্রান্তের সভাপতি শুভ্রাংশুশেখর ভট্টাচার্য, সম্পাদক দিলীপ কুমারকে সাহায্য করতে তৈরি করা হয় পৃথক অভ্যর্থনা কমিটি। সঙ্গে বিভিন্ন উপ-সমিতি। অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি রাজেন্দ্র অগ্রবাল। রয়েছেন বিজেপির বরাক উপত্যকা সাংগঠনিক সম্পাদক নিত্যভূষণ দে। প্রচারের দায়িত্বে বিজেপি জেলা কমিটির কর্মকর্তা অমিয়কান্তি দাস ও প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য।
কিন্তু নোট-বাতিলে শুরু হয় সঙ্কট। প্রধান সমস্যা তহবিল। শুভ্রাংশুবাবু জানান, নতুন মুদ্রানীতির জন্য তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। চাঁদার জন্য যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই এককথা শুনতে হচ্ছে— এই সময়ে নগদ টাকা দিই কী করে! দিলীপবাবু বলেন, ‘‘তাই আমরা চেকেই চাঁদা সংগ্রহ করছি। জিনিসপত্র নিচ্ছি। দুধ, বিস্কুট চাঁদার বদলে চেয়ে নেওয়া হয়েছে।’’
তাতেও যে সঙ্কট মেটেনি, তা জানান নিত্যভূষণ দে। তিনি বলেন, ‘‘শেষে বাজেটে কাটছাঁট করতেই হল। ২০ লক্ষের পরিকল্পনা এখন ১০ লক্ষ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। সে-ও কম হ্যাপা নয়। কোথায় কমানো! বড় অঙ্ক বললে, আগে ঠিক হয়েছিল, পুরো পশু চিকিতসালয় চত্বরকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। মঞ্চ, সামিয়ানা, চেয়ার-টেবিলে কার্পণ্য নয়। সে জন্য ৫ লক্ষ টাকা খরচ হতো। এখন একে দেড় লক্ষ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। ওই টাকায় যেটুকু করা যায়, তা-ই হবে।’’
প্রাথমিক উষ্মা প্রকাশ করেও শেষে নেতৃবৃন্দ নিজেকে শান্তনা দেওয়ার ঢঙে বলেন, ‘‘ভাল জিনিসের জন্য এটুকু সমস্যার তো মোকাবিলা করতেই হবে।’’