অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
জাতভিত্তিক গণনা নিয়ে কিছুটা হলেও সুর নরম করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জাতগণনার বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব প্রথম থেকেই অনীহা দেখিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলির। এই বিষয়টির সরাসরি বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। এমনকি মোদী নিজে কিছু দিন আগে পর্যন্ত অভিযোগ করেছিলেন যে, ‘‘বিরোধীরা জাতের নামে দেশকে ভাগ করতে চায়। জাতের ভিত্তিতে এ ভাবে বিভাজন করা আসলে পাপ।’’ তবে এ বার খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও দিনই জাতগণনার বিরোধিতা করেননি। সরকার এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে। কিছু সিদ্ধান্ত হলে তা বিস্তারিত আলোচনা করেই নেওয়া হবে।
মাস খানেক আগে বিহার সরকার জাতভিত্তিক গণনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। যার বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে বিজেপির বেশির ভাগ নেতাদের। তবে আপনা দল, সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি, নিশাদ পার্টি, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা সেকুলার-এর মতো বিজেপিরই বেশ কয়েকটি শরিক দল জাত ভিত্তিক গণনার পক্ষে সওয়াল করছে। জাতগণনার পক্ষে সওয়াল করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। এক দিকে, রাজস্থানের মতো কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যে যখন ফের ক্ষমতায় ফিরলে জাতগণনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তেমনই আসন্ন বিধানসভা ভোট রয়েছে এমন বাকি রাজ্যগুলিতেও জাতগণনার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেস। বিহারে সম্প্রতি বিজেপি নেতাদের একাংশও জাতগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আজ ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল অমিত শাহকে। তিনি সেখানেই সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আমরা একটি জাতীয় দল আর আমরা কখনও ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিকে আশকারা দিই না। বিস্তারিত আলোচনার পরেই আমরা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তবে এই জাতগণনাকে হাতিয়ার করে নির্বাচনে জেতা উচিত কাজ হবে না। বিজেপি কখনওই এর বিরোধিতা করেনি। তবে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অনেক ভাবনা-চিন্তা প্রয়োজন। ঠিক সময়ে আমরা নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আনব।’’