হাইলাকান্দির লালা ব্লকে সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৪২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। লালার ভারপ্রাপ্ত বিডিও সরফরাজ হক ওই ব্লকের তৎকালীন বিডিও জি আদিন, অলিউর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষক নুরুল হক চৌধুরী ও তৎকালীন বড়বাবু অরুনাংশু নাথের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলেছেন।
গত কালই লালা ব্লকে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন বিধায়ক আনোয়ার হুসেন লস্কর। তার কয়েক ঘণ্টা পরই এই ভারপ্রাপ্ত বিডিও ওই পদক্ষেপ করেন। বিধায়ক লস্করের অভিযোগ ছিল, লালা ব্লকে উন্নয়নের টাকা লোপাটে ভারপ্রাপ্ত বিডিও সরফরাজ হকও জড়িত। তাই তিনি ব্লকের দায়িত্ব ছাড়তে চাইছেন না। এমনকী রাজ্যের গৃহসচিবের নির্দেশের পরও চেয়ার ধরে বসে রয়েছেন। এ নিয়ে তদন্তের দাবি জানান বিধায়ক। গত রাতেই ওই ব্লকে ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে খরচ না হওয়া ৪২ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন সরফরাজ হক। তাঁর অভিযোগ— লালা ব্লকে ইন্দিরা আবাসের খরচ না হওয়া টাকার হিসেব কষতে গিয়ে তিনি অনিয়ম টের পেয়েছেন। ২০০৯-১০ ও ২০১১-১২ আর্থিক বছরে ওই কেলেঙ্কারি ঘটেছে।
মামলা রুজুর খবর শুনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিধায়ক আনোয়ার হুসেন লস্কর। আজ তিনি পাল্টা বিডিও সরফরাজ হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘নিজের দোষ ঢাকতেই উনি অন্যের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছেন।’’ এ দিন এ বিষয়ে হাইলাকান্দির জেলাশাসক মলয় বরার কাছে স্মারকপত্র পাঠিয়েছেন বিধায়ক। তাতে লালার ভারপ্রাপ্ত বিডিও-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন।
লস্করের বক্তব্য, ১১ মাস ধরে ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন সরফরাজ হক। এত দিনে কেন ওই দুর্নীতি তাঁর নজরে পড়ল না? এ দিন বিধায়কের উপস্থিতিতে লালা ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশ বিডিও-র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাসের কাছে নালিশ জানিয়েছেন।
লালা ব্লকের ভারপ্রাপ্ত বিডিও তথা হাইলাকান্দির সার্কেল অফিসার সরফরাজ হক এ বিষয়ে জানান, এক জন আধিকারিক হিসেবে তিনি সরকারি নিয়মনীতি মেনে কাজ করছেন। লালা ব্লকের দায়িত্ব ছাড়ার সরকারি নির্দেশ এখনও তিনি পাননি বলেও জানান।